রামুতে হাছান হত্যাকান্ডে নিরীহ লোকজনকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে

বৃহষ্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকাল পাঁচটায় রামু প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, সৈনিকলীগ, তাঁতীলীগ, বাস্তুহারালীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ বিপুল সংখ্যক রাজননৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের ব্যক্তিগত সহকারি ও রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রামু উপজেলা ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মন্ডলপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাছানকে দুই বছর পূর্বে দুর্বৃত্তরা নৃশংসভাবে হত্যা করে। ইতিহাসের বর্বরোচিত এ ঘটনায় রামুসহ পুরো জেলায় ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠে। এমন নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার রামুবাসী সবসময় চেয়ে আসছে। সংবাদ সম্মেলন আয়োজনকারি রামুর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও ঘটনার পর থেকে একাধিকবার এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বর্বরোচিত এ ঘটনাকে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে একটি মহল অতি নোংরা ও ঘৃন্য রাজনীতি শুরু করেছে। আলোচিত এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সম্প্রতি সিআইডি’র তদন্তকারি কর্মকর্তা যে চার্জশিট (তদন্ত প্রতিবেদন) দিয়েছেন, ওই প্রতিবেদনে রাজনৈতিক স্বার্থ হ্ািসলের জন্য কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের ব্যক্তিগত সহকারি ও রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিককে অভিযুক্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরো জানানো হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সাংসদ কমলের বিরুদ্ধে এমটি মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সেই ষড়যন্ত্রকারিরা ঘটনার দুই বছরেও হাছান হত্যাকান্ডের কোন খবর রাখেনি। তারাই সম্প্রতি রামু চৌমুহনী স্টেশনে প্রকৃত খুনীদের নিয়ে মানববন্ধন করে। যা জাতির বিবেক সাংবাদিকবৃন্দসহ পুরো রামুবাসী জানেন।

পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারি ও রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিককে এ হত্যা মামলায় জড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

মূলত কিছু কুচক্রী মহল, প্রকৃত আসামীদের আড়াল করার জন্য উল্টো নিরাপরাধ ব্যক্তিদের মামলায় ফাঁসানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। ওই কুচক্রী মহল উল্টো প্রকৃত খুনিদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে।

সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, এইচ রহমান মিলু নামের এক ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারি হাছান হত্যাকান্ডের সাথে আমাকেও মাননীয় সংসদ সদস্যকে জড়িয়ে যে স্টাটাস দিয়েছেন তাতে বুঝা যায়, হাছান হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারিই হচ্ছেন এইচ রহমান মিলু। অন্যতায় ওই মিলু ঢাকা বসে হাছান হত্যাকান্ডের বিষয়ে কিভাবে এতকিছু জানলেন। আমরা জানতে পেরেছি এইচ রহমান মিলু নামের ওই ব্যক্তি দেশের শীর্ষস্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ি। মাদকপাচারকারি ও মাদক সেবীদের গড়ফাদার। রামুতেও তার কিছু অনুসারী মাদকসেবী রয়েছে। তাদের মাধ্যমেই মিলু রামুকে জড়িয়ে যতসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। মিলুর স্টাটাসে স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিককে পলাতক বলে উল্লেখ করা হলেও আবু বক্কর ছিদ্দিক দুদিন আগের বন্যায় সাংসদ কমলের সাথে এবং পরবর্তী কমলের পক্ষে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে বিভিন্ন ইউনিয়নের ত্রান বিতরণকাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এমনকি আজ (বৃহষ্পতিবার) বিকালেও স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হাছান হত্যাকান্ডে জড়িত প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো, রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক আবদুল মাবুদ,্ জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, রশিদনগর ইউপি চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু ঈসমাইল মো. নোমান, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ঈদগড় ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এডভোকেট মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী, সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও সাংসদ কমলের একান্ত সচিব মিজানুর রহমান, যুবলীগ নেতা উত্তম মহাজন, গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আবদুল জব্বার এমইউপি, মো. কামাল উদ্দিন মেম্বার, রামু উপজেলা তাঁতীলীগ সভাপতি নুরুল আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আজিজুল হক আজিজ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আরিফ খান জয়, রামু উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নোমান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম জয়, রামু কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মো. নাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার ইরফান, সহ সভাপতি মো. ওয়াহেদ, রিয়াদ, রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াজ আহমেদ, রশিদনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নজিবুল ইসলাম, সহ সভাপতি মো. রাশেদ, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. জানে আলম, সহ সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি হেলাল সিকদার, সাধারণ সম্পাদক লবা কর্মকার, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. রিফাত ও মো. রিয়াদসহ রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, সৈনিকলীগ, তাঁতীলীগ, বাস্তুহারালীগ সহ অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।