প্রকাশিত: ২৬/১২/২০১৬ ১:৫৩ পিএম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:

আজ সোমবার মধ্যে রাত থেকে শেষ হচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণা। এ সময়ের পর থেকে প্রার্থীরা কোন রকম প্রচারণা চালালে কঠোর ব্যবস্থা নিবে নির্বচন কমিশন (ইসি)।

আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনের সহকরী সচিব আশফাকুর রহমান বিডি টোয়েন্টি ফোর লাইভ ডটকমকে বলেন, আমরা জেলা নির্বাচন অফিসারকে নির্দেশনা পাঠিয়েছি। ২৭ ডিসেম্বর থেকে সব ধরনের প্রচার – প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোন প্রার্থী নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীও যথাসময়ে নিয়োজিত থাকবে।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ পর্যায়ে ভোট হবে। নির্বাচন ঘিরে ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৮ দিনের জন্য ৯১ জন নির্বাহী হাকিম নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া ভোটের সময় চার দিন ৯১ জন বিচারিক হাকিম থাকবেন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সে।

২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকার ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। অনির্বাচিত এই প্রশাসকদের মেয়াদ শেষেই ডিসেম্বরে নির্বাচন হচ্ছে। সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদ আইনে প্রত্যক্ষ ভোটের বিধান নেই।

আইন অনুযায়ী প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এ নির্বাচনে ভোট দেবেন। সব মিলিয়ে ৬৩ হাজার ১৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ৪৮ হাজার ৩৪৩ জন পুরুষ; এবং ১৪ হাজার ৮০০ জন নারী ভোটার।

২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পরিষদে ওয়ার্ডভিত্তিক কেন্দ্রে ভোট চলবে। প্রতিটি জেলা পরিষদকে ১৫টি সাধারণ ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদাভাবে একটি করে ভোটকক্ষ থাকবে।

৬১ জেলায় ৯১৫ টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৩০৫ টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। সেই হিসাবে ভোটকেন্দ্র থাকছে ৯১৫টি ও ভোটকক্ষ থাকছে ১৮৩০টি। তিন পার্বত্য জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় চেয়ারম্যান, ১৫ জন করে সাধারণ ও পাঁচজন করে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন এই ভোটের মাধ্যমে।

চেয়ারম্যান পদে ইতোমধ্যে ২২ জেলায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বর্জনের মধ্যেও বাকি ৩৯ জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১২৪ জন প্রার্থী।

সাধারণ সদস্য পদে ২৯৮৬ জন ও সংরক্ষিত (নারী) সদস্য পদে ৮০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সাধারণ সদস্য ১৩৯ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

পাঠকের মতামত

নিরাপত্তা নিশ্চিতে গানম্যান পেলেন নাহিদ-সারজিস-হাসনাত-জারা

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যু্ক্ত থাকা ব্যক্তিত্ব, সমন্বয়ক, সংসদ-সদস্য প্রার্থী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ...

মারা গেছেন ওসমান হাদি

ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদীকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ...

দুর্বল ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা দেবে কে?- জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক

দুর্বল ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের অর্থ ফেরানোর দায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই ...