মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের স্কুলগুলো খুলছে। গত আগস্টের পর থেকে এসব স্কুল বন্ধ ছিল। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, এসব অঞ্চলে ‘স্থিতাবস্থা’ ফিরে এসেছে।
মংগদু ও বুথিডং নামে রাখাইনের দুই এলাকায় স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার দেশটির শিক্ষা কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে এ তথ্য দিয়েছেন।
আরব নিউজে বলা হয়, রাখাইনের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের দাবি, এসব এলাকার গ্রামের স্কুলগুলো এখন নিরাপদ।
তবে রাখাইনের শিক্ষাবিষয়ক কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘কিন্তু আমাদের বাঙালি গ্রামের স্কুলগুলো নিয়ে ভাবতে হবে।’
আরব নিউজের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলে জানে। রোহিঙ্গাদের নিজের দেশের বলে স্বীকৃতি দিতে নারাজ দেশটির সরকার।
গত ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর বেশির ভাগই মংগদু ও বুথিডংয়ের। জাতিসংঘ মিয়ানমারের এ নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করেছে।
যেসব রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের অধিকাংশই মুসলিম। তবে রাখাইনের ৩০ হাজার বৌদ্ধ-হিন্দুও সেনাবাহিনীর নির্যাতনে ঘরছাড়া হয়েছে।
প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগর পার হয়েও বাংলাদেশে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। আর একাধিকবার নৌকাডুবিতে মারা গেছে বহু মানুষ। গত বৃহস্পতিবার এমনই একটি নৌকাডুবিতে ৬০ জন রোহিঙ্গা মারা যায়। নৌকাটি রোহিঙ্গাদের নিয়ে বুথিডং থেকে বাংলাদেশে আসছিল।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সাহায্য করছে জাতিসংঘ। এদিকে মিয়ানমারের অভিযোগ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।
সহিংসতার দায়ভার নিজেদের ওপর নিতে রাজি নয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাদের দাবি, ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা’ই এ সহিংসতা শুরু করেছে।
পাঠকের মতামত