প্রকাশিত: ১৪/১২/২০১৬ ৯:২৫ পিএম , আপডেট: ১৪/১২/২০১৬ ৯:৪৫ পিএম
ফাইল ছবি

উখিয়া নিউজ ডটকম:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, তাদের বিচার চলবে। একই সাথে যারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছে তারাও সমান অপরাধী। সুতরাং তাদেরও বিচার হবে। যতই ষড়যন্ত্র আসুক, তাদের কেউ রক্ষা করতে পারবে না।

 

বুধবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, শহীদদের পথ ছিল সত্য ও সুন্দরের। সত্য ও সুন্দরের পথকে কেউ সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারে কিন্তু চিরতরে রুখে দিতে পারে না। আমরা সে পথেই আছি। ‍সুতরাং যত বাধাবিপত্তি আসুক জয় আমাদের নিশ্চিত।

 

মৃত্যু তাকে বারবার হানা দিয়েছে, এমন প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুকে আমি ভয় করি না। সপরিবারে জাতির জনককে হারানোর পর মৃত্যু আমাকে বহুবার তাড়া দিয়েছে। আমি মনে করি, মৃত্যু একটি স্বাভাবিক নিয়তি। কেউ তাকে অস্বীকার করতে পারে না। সুতরাং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। এ শক্তি এ দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগ থেকে পাই। ওরাই আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বলা যাবে না। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করা যাবে না। সেভাবে যেন রাষ্ট্র চলতে শুরু করল। আর সব দোষ কাদের? বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ এবং স্বাধীনতা যাঁরা এনেছিলেন, তাঁরাই যেন দোষী। একটা প্রজন্মের পর প্রজন্ম আমাদের দেশের সেই গৌরবের ইতিহাসও জানতে পারেনি। সঠিক ইতিহাসও জানতে পারেনি। একটি জাতি যখন তার ইতিহাস ভুলে যায়, তখন সে কিসের ভিত্তিতে এগোবে? মুখ ফুটে যে কেউ বলবে, তারও সুযোগ ছিল না। বলবে কীভাবে? দিনের পর দিন তো মার্শাল ল থাকত। প্রতি রাতে কারফিউ। বলতে গেলে ১০টা বছর এ দেশের কারফিউ ছিল।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন দিন ছিল আমরা জয় বাংলা স্লোগান দিতে পারতাম না। আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হতো। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতে দিত না। ভাষণ বাজালে সেখানে হামলা হতো।

 

দেশকে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আর লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। সেই চিন্তা করে দেশ পরিচালনা করছি বলেই এই উন্নয়ন করতে পারছি। ৭৫-এর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের মাথায় এই চিন্তা ছিল না।

 

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে যাব। অচিরেই বাংলাদেশ সে অবস্থানে যাবে।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে ইতিবাচক মিয়ানমার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিমসটেক ...

সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির আভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী সপ্তাহজুড়ে সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। সেই সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির ...