ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৮/০৬/২০২৪ ৯:৫১ এএম

টিয়ায় মেহেদী অনুষ্ঠানের কয়েকঘণ্টা আগেই নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রীমা আক্তার (২০) নামের এক তরুণী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রীমা উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের

হীরা তালুকদার বাড়ির বাচা মিয়ার কন্যা। বিয়ের যৌতুক হিসেবে ফার্নিচার দেরিতে দেওয়াকে কেন্দ্র করে হবু বরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রীমা আত্মহত্যা করে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (গতকাল) রাতে ছিল রীমার মেহেদী অনুষ্ঠান, আজ (শুক্রবার) দুপুরে ছিল বিয়ে। কিন্তু তার আগেই হবু বরের সঙ্গে ঝগড়া করে তিনি আত্মহত্যা করে বসেন। রীমার হবু স্বামী মিজানুর রহমান মোরশেদ একটি বেসরকারি ব্যাংকের জুনিয়র ক্যাশ অফিসার বলে জানা গেছে। তিনি একই এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র।

রীমার বড় বোন রুমি আকতার বলেন, তার বোন পটিয়া সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিল। সে খুবই মেধাবী ছাত্রী। পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হলে বিয়েতে বরপক্ষ প্রথমে কোনো যৌতুকের দাবি না করলেও পরে ২ লাখ টাকা ও ফার্নিচার দাবি করে। গত পরশু বরযাত্রী বাবদ নগদ ২ লাখ টাকা বরপক্ষকে দেয়া হয়েছে। এরপর ফার্নিচার চাইলে তাতেও আমাদের পরিবার রাজি হয়। কিন্তু মেহেদী অনুষ্ঠানের দিন ফানির্চার না দিলে তার স্বামী বিয়েতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ নিয়ে মোবাইলে আমার বোনের সঙ্গে তার হবু বরের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করে। এর আগে সে একটি চিরকুট লিখে গেছে।

পটিয়া থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত

নাইক্ষংছড়ি থানার ওসি ও দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ছাত্রদল নেতার মামলা বাণিজ্যের অডিও ফাঁস!

বান্দরবানের নাইক্ষ‌্যংছড়িতে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ও দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সাবেক উপজেলা ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমানের ...

সড়ক দুর্ঘটনায় ফের নিহত ১, প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রাণ গেল বউ-শাশুড়িসহ একই পরিবারের ৩ জনের

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের বউ-শাশুড়িসহ তিনজন নিহত ...