
কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে আসা মালিক বিহীন বাছুরসহ ১৭টি মহিষ ১৫লাখ ২৬ হাজার ২৫০ টাকায় প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। মেসার্স আব্দুল্লাহ এন্ড সন্স নামে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মহিষগুলো নিলামে কিনেছেন।
গত রোববার রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকা থেকে ১৭ টি মহিষ জব্দ করেছে ৬৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ বুধবার দুপুরে টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক গোদামের মাঠে প্রকাশ্য নিলামে মহিষগুলো বিক্রি করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক বিভাগের শুল্ক কর্মকর্তা মো সোহেল উদ্দিন।
বিজিবি সূত্র জানায়, ২০এপ্রিল রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশ চোরাই পথে আনা মালিক বিহীন পাঁচটি বাছুরসহ ১৭টি মহিষ ৬৪ বিজিবির টহল দলের সদস্যরা জব্দ করেছেন। পরে এ মহিষগুলোর কোন ধরনের মালিক খুঁজে না পেয়ে টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক বিভাগে জমা করা হয়েছে।
টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক বিভাগ গুদাম কর্মকর্তা মো: নাফিস আমীন রিজভী বলেন, রোববার রাতে বিজিবি কর্তৃক মালিক বিহীন ১৭টি মহিষ কাস্টমস এ জমা দেওয়া হয়। বিজিবি কর্তৃক জব্দকৃত মহিষের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। পরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ছোট-বড় মহিষগুলোর বাজারদর মিলিয়ে ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করে প্রকাশ্যে নিলামের ডাক দেওয়া হয়।
আজ বুধবার দুপুরের নিলামের ৪৬জন লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। কাস্টমসের বাজারদর নিলাম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ডাককারি মেসার্স আব্দুল্লাহ এন্ড সন্স -১২লাখ ২১হাজার টাকা ও ২৫% আয়কর এবং ভ্যাটসহ ১৫লাখ ২৬ হাজার ২৫০ টাকা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। নিলামে দ্বিতীয় স্থানে ছিল জুবায়েরুল আফসার এন্টারপ্রাইজ, ১২ লাখ ২০ হাজার ও তৃতীয় স্থানে ছিল হামিদ এন্ড ব্রাদাস ১২ লাখ ১০হাজার টাকা।
মেসার্স আব্দুল্লাহ এন্ড সন্সের স্বত্বাধিকার আব্দুল আজিজ রানার বড় ভাই নুরুল কায়েস সাদ্দাম বলেন, আমরা দুই ভাই টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী। সরকারকে রাজস্ব দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। নিলাম থেকে মহিষগুলো ক্রয় করার উদ্দেশ্য হলো সরকারকে সঠিক রাজস্ব প্রদানের সহযোগিতা করা।
টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক বিভাগের শুল্ক কর্মকর্তা মো সোহেল উদ্দিন বলেন,বাছুরসহ ১৭টি মহিষ সর্বোচ্চ নিলাম ডাককারি ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত