ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রতিবেদন

মিয়ানমারে ঘাঁটি গাড়তে পারে মার্কিন বাহিনী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৭/০২/২০২৪ ১০:১০ এএম

সহযোগিতা বা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অজুহাতে মিয়ানমারে ঘাঁটি গাড়তে পারে মার্কিন বাহিনী। চলমান উত্তেজনায় এমন আশঙ্কা বিশ্ব রাজনীতি বিশ্লেষকদের। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় মিয়ানমারের বন্ধুরাষ্ট্র ভারত, চীন ও জাপানের সঙ্গে জোর আলোচনার তাগিদ দিচ্ছেন তাঁরা। না হলে আঞ্চলিক সংকট আরও জটিল হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সংকট দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘাত পরিস্থিতি আরও উসকে দিয়েছে। আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও বান্দরবানে।

এমন উত্তেজনার মধ্যে বিশ্লেষকেরা সামনে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বার্মা অ্যাক্টকে। ২০২২ সালে মার্কিন সিনেটে পাস হয় আইনটি। এরপর থেকে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী গেরিলা এবং সংখ্যালঘু জাতিসত্তার সশস্ত্র দলগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বাড়তি সহায়তা আশা করছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের আশঙ্কা, বার্মা অ্যাক্টের মাধ্যমে সহযোগিতার অজুহাতে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক তৎপরতা চালাতে পারে। অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটা বার্মা অ্যাক্ট করেছে তারা হয়তো ভবিষ্যতে আরও অ্যাক্ট নিয়ে আসবে। তার মানে তারাও এখানে একটা নজর দিয়েছে। সেই নজরটা ভারত বা চীন চাইবে কি না—সেটাও দেখার বিষয়। সেই জায়গায় আমার মনে হয় কত তাড়াতাড়ি এটা সমাধান করা যায় তার জন্য তাদেরও একটা বড় ভূমিকা প্রয়োজন। কারণ, সমাধান যদি না হয়, তাহলে এমন একটা অবস্থায় যাবে তখন এই পুরো অঞ্চলই একটা ঝামেলায় পড়ে যাবে। সেই জায়গায় আমার মনে হয় এই মুহূর্তে আমাদের আন্তর্জাতিকরণ বিষয়টা আরও বাড়ানো দরকার।’

মিয়ানমারের ওপর মার্কিন নজরদারির কারণে আঞ্চলিক সংকট আরও জটিল হতে পারে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। এজন্য বড় পরিসরে আলোচনায় বসার তাগিদ তাদের। পাশাপাশি মিয়ানমার ইস্যুতে সরকারকে কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা।

অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘বার্মা অ্যাক্টের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যদি মনে করেন তাহলে কিন্তু তারা সহায়তা দিতে পারে। সেই জায়গায় গেলে মিয়ানমারের ক্ষতি হবে শুধু তাই না পার্শ্ববর্তী যেসব দেশ আছে তারাও চিন্তিত হয়ে যাবে। কারণ, বর্ডারে তাদেরও তো বিভিন্ন ঝামেলা আছে।’

সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও কূটনীতিক তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষে আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব না। কারণ, আমরা যথেষ্ট মানবিকতা দেখিয়েছি। সেটার মূল্য কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের দেয়নি।’

বার্মা অ্যাক্টের মাধ্যমে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি যুক্ত হয় বাইডেন প্রশাসন। এটির মাধ্যমে রাশিয়া ও চীন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা দিলে যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে।

পাঠকের মতামত

স্বাভাবিক পথে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে খাদ্যপণ্য, টেকনাফে ফিরছে যাত্রী

অবশেষে স্বাভাবিক হচ্ছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল। দীর্ঘ ৩৩ দিন পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাতায়াত করছে ...