
টেম্পোরারি প্রোটেকটেড স্ট্যাটাস’ (টিপিএস) কর্মসূচির আওতায় মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য চলমান ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ (টিপিএস) বাতিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৬ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সোমবার (২৪) হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম এই ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন যথেষ্ট স্থিতিশীল এবং দেশটির নাগরিকরা নিরাপদে নিজ দেশে ফিরতে পারবেন–এমন মূল্যায়নের ভিত্তিতেই এই সুবিধা তুলে নেয়া হচ্ছে।
সেক্রেটারি নোয়েম বলেন, “এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে টিপিএসকে তার মূল ‘অস্থায়ী’ চরিত্রে ফিরিয়ে আনা হলো। মিয়ানমারে শাসনব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। এর প্রমাণ হলো: দেশটিতে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিকল্পনা, সফল যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং স্থানীয় শাসনের উন্নতির ফলে জনসেবা ও জাতীয় সমঝোতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে, মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি এখন টিপিএস-এর বিধিবদ্ধ আইনি শর্ত আর পূরণ করছে না। তাই মিয়ানমারের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ দেয়া এখন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের অনুকূলে নয়।
টিপিএস বাতিলের পর যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের প্রস্তুতিতে থাকা মিয়ানমার নাগরিকদের ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) হোম অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজ দেশে ফেরার বিষয়টি রিপোর্ট করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের নাগরিকদের এই টিপিএস সুবিধা দেয়া হয়েছিল।

পাঠকের মতামত