প্রকাশিত: ৩০/০৮/২০১৭ ৯:২৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:২০ পিএম

এম,এস রানা উখিয়া::
বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তে বসেছে অঘোষিত গরু ছাগলের হাট। নামমাত্র মুল্যে গরু ছাগল, হাঁস মুরগি ক্রয় করতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ব্যবসায়ী সহ এলাকার বাসিন্ধারা।
পাশ্ববর্তি দেশ মায়ানমারে স্বরনকালের ভয়াবহ রোহিঙ্গা নির্যাতন ও চলমান দাঙ্গায় অসহায় মুসলমানদের শত শত গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে সে দেশের সেনাবাহিনী, পাখির মতো গুলি করে নির্বিচারে হত্যা করছে পুরুষদের গনহারে ধর্ষন করে চলছে রোহিঙ্গা নারীদের। ভয়াবহ নির্যাতনের কবলে পড়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী পুরুষ শিশু কোন রখম প্রান নিয়ে ধেঁয়ে আসছে বাংলাদেশের অভিমূখে। স্বপ্নের বাড়ি ঘর, জায়গা জমি ছেড়ে পালিয়ে আসলেও অনেক রোহিঙ্গা সঙ্গে নিয়ে আসছে গৃহপালিত গরু,ছাগল,হাঁস মুরগি ইত্যাদি। যে খানে ছেলে মেয়ে নিজের জীবন নিয়ে টানাটানি সে খানে গরু ছাগল রাখবে কোথায়? তাই ঐ সব গরু ছাগল বিক্রি করছে নামমাত্র মুল্যে। বর্তমানে একটি গরু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে ছাগল পাওয়া যাচ্ছে ৫ শত থেকে ২ হাজার টাকায় জানা গেছে । এদিকে সব হারানো অসহায় রোহিঙ্গাদের এসব গরু ছাগল ক্রয় করতে সীমান্ত এলাকায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছে স্থানীয়রা। সীমান্তরক্ষী বিজিবির চোখকে এড়িয়ে প্রতিদিন আসছে শতশত গরু ছাগল, সীমান্ত এলাকায় গড়ে উঠেছে অঘোষিত গরু ছাগলের বাজার। গাড়ি করে হাটিয়ে নিয়ে আসা মাযানমারের গরুতে সয়লাব হয়ে গেছে সীমান্তবর্তি বিভিন্ন হাট বাজার গুলো। মূখে মানবতার কথা বললেও রোহিঙ্গাদের অসহাত্বের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেনীর প্রতারক চক্র জাল নোটের কারবারি বাড়িয়ে দিয়েছে । রোহিঙ্গারা সহজ সরল ও এদেশের নোটের ব্যপারে কোন ধারনা না থাকায় জাল নোট প্রতারনার শিকার হচ্ছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জাল নোট দিয়ে প্রতারনা করে গরু ছাগল ক্রয়কে মারা উপর খুরার ঘাঁ বলে মন্তব্য করেছে সচেতন মহল। এ ছাড়াও কিছু হায়েনার দল নিরহ রোহিঙ্গাদের গরু, ছাগল জোরপুর্বক লুট করে নেয়ারও একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। যারা নামমাত্র মুল্যে গরু ক্রয় করে আনছে তাদের মুখে যুদ্ব জয়ের বিজয় হাসি লক্ষ করা গেছে। এখন অনেকেই তাদের নিত্য ব্যবসা রেখে অধিক মুনাফার আশায় গরুর ব্যবসা শুরু করেছে। তারা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে ছুটছে কম দামে রোহিঙ্গাদের গরু ক্রয়ের জন্য। এদিকে বাজারে কম দামে গরু ছাগল বিক্রি হওয়ার কারনে দেশিয় খামারিদের মাথায় হাত উঠেছে ১৯/১২ দিন পুর্বে যে গরুর দাম ছিল ৬০/৭০ হাজার টাকা বর্তমানে তা পাওয়া যাচ্ছে ৪০/৫০ হাজার টাকায়, যার কারনে অনেক গরুর মালিক তাদের গরু বিক্রি না করে বাড়ি ফিরে নিচ্ছে।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...