মহেশখালী প্রতিনিধি ::
মহেশখালীতে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আপন ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মারাত্নক আহত হয়ে ৪ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেল মেঝ ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামে। নিহত যুবকের নাম খোরশেদ আলম (৩০)। সে উক্ত গ্রামের মৃত হাজী কালা মিয়ার পুত্র। গতকাল ২৪ এপ্রিল দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি মৃত হাজী কালা মিয়া প্রায় ৮০ কানী সম্পত্তি রেখে ১বছর পূর্বে মারা যান। তার মৃত্যুর পর ত্যাজ্যবৃত্ত নিয়ে ৪পুত্র জাফর আলম প্রকাশ লেজা,খোরশেদ আলম,জাহাঙ্গীর আলম ও শাহিন আলম বাবুলের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তৎ মধ্যে শাহিন আলম মলয়েশিয়া ও নিহত খোরশেদ আলম দুবাই চলে গেলে আপর দুভাই জাহাঙ্গীর ও জাফর দুজনেই ভগ্নিপতি আমির হোছন কোম্পানীর যোগ সাজসে পিতার সমস্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিল। গত কয়েক মাস পূর্বে নিহত খোরশেদ আলম বিদেশ থেকে ফিরে তার পৈত্রিক অংশের জমির ভাগ দাবী করে আসছিল বড়ভাই জাফর ও ছোট ভাই জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে। এতে তারা খোরশেদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার দিন গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঘটিভাঙ্গা ষ্টেশন বাজারস্থ পৈত্রিক দোকান ঘরের ভাড়া তোলাকে কেন্দ্র করে নিহত খোরশেদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় ছোট ভাই জাহাঙ্গীর ও বড় ভাই জাফরের। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর খোরশেদের পেটে ছুরিকাঘাত করলে সে মারাত্নক আহত হয়। তাকে স্থানীয় হাঁতুড়ে ডাক্তার মো: হোসেনের নিকট নিয়ে গেলে ওই হাঁতুড়ে ডাক্তার মারাত্নক আহত খোরশেদকে সেলাই করে চিকিৎসা দিলে তার পরামর্শে বাড়ীতে রেখে দেয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মহেশখালী হাসপাতালে এবং ককস বাজার সদর ঘুরে সর্ব শেষ চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে গেলে গতকাল বিকালে খোরশেদ আলম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত খোরশেদের জেঠাত ভাই মো: সেলিম উল্লাহ জানান, পৈত্রিক বিপুল পরিমাণ জমি কুক্ষগত করার লোভে দীর্ঘ দিন ধরে অপর ভাইয়েরা খোরশেদ কে বঞ্চিত করে আসছিল এবং সর্ব শেষ তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। গতকাল রাতে এরিপোর্ট লেখাকালীন লাশ চট্টগ্রাম থেকে বাড়ীতে নেয়া হচ্ছিল বলে নিহতের পারিবারিক সুত্র জানান।
পাঠকের মতামত