ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১১/০৮/২০২৪ ১০:১৪ এএম , আপডেট: ১১/০৮/২০২৪ ১০:২৩ এএম

ব্যাংকের তারল্য সংকট নিরসনে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রাহককে একদিনে দুই লাখ টাকার বেশি সরবরাহ না করার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ একজন গ্রাহক এই সপ্তাহে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা তুলতে পারবেন। শনিবার (১০ আগস্ট) ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো এক জরুরি বার্তায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। একাধিক ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন করতে না পারলেও যে কোনো পরিমাণ নগদ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংক শাখায় নগদ পরিবহনের নিরাপত্তা সমস্যার কারণে, অনুগ্রহ করে আগামী সপ্তাহে ২ লাখের বেশি নগদ তোলার অনুমতি দেবেন না। পাশাপাশি চেকে লেনদেনের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে যে কোনো সন্দেহজনক লেনদেন বন্ধ করতে ব্যাংকগুলোকে সচেষ্ট হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তথ্য বলছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার ১ লাখ টাকার বেশি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদরা চলমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে অর্থ সরানো ও অর্থ পাচার করতে না পারে এ জন্য সন্দেহজনক লেনদেন হলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। পরিচিত বা স্বজনপ্রীতি করে ছাড় দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

বিএফআইইউর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, দেশে এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতি চলছে। অনেক দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ, সন্ত্রাসী অর্থ সরানো ও অর্থ পাচারের চেষ্টা করবে। তাই এখন থেকে যে কোনো ধরনের লেনদেনে মানি লন্ড্রারিংয়ের সব নিয়মনীতি শতভাগ পরিপালন করতে হবে। কোনো লেনদেন সন্দেহজনক হলেও জানাতে হবে। কোনো প্রকার পরিচিত, স্বজনপ্রীতি করে ছাড় দেওয়া যাবে না- যদি কেউ ছাড় দেয় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।

বিএফআইইউ বলছে, যে কোনো ধরনের সন্দেহজনক লেনদেন হলে সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম (এসএআর) প্রতিবেদন দিতে হবে। এসটিআর বা এসএআর অনুযায়ী প্রয়োজন মনে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ বা জব্দ করা হবে।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চাপ অব্যাহত রাখতে হবে: তারেক রহমান

রোহিঙ্গাদের যথাযোগ্য মর্যাদায় নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক ...

ডিউটি পোস্টে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না: আইজিপি

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা বিধান পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। ...

২৯৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত, কক্সবাজারে ফারুক , আযাদ, বাহাদুর, আনোয়ারী

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় ধরেই সব আসনে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ...

ড. ইউনূস ও গর্ডন ব্রাউনের ফোনালাপ অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে গুরুত্ব

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের সঙ্গে টেলিফোনে ...

রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, ইউনূস-তারেক বৈঠকে সিদ্ধান্ত

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ...