প্রকাশিত: ০৬/০৫/২০১৭ ৫:৪০ পিএম

নিউজ ডেস্ক :
মিয়ানমারে পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের অর্ধেক কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) সম্প্রতি এই সম্পর্কে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক সংঘাত এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে এসব শিশুর অভিভাবকেরা তাদের বিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে এসব শিশু পরবর্তীতে শিকার হচ্ছে পারিবারিক সহিংসতার।
ইউএনএইচসিআর জানায়, ২০১২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত সহিংস পরিস্থিতিতে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু ছিল। এরপর গত বছরেও নিরাপত্তা বাহিনীর দমন পীড়নের কারণে এই জনগোষ্ঠীর মানুষেরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।
আশ্রয়হীন এসব মানুষ নিরাত্তার স্বার্থেই তাদের কন্যা শিশুদের বিয়ে দিতে বাধ্য হন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা। গত বছর ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার ১৪ থেকে ৩৪ বছরের প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে সংস্থার প্রতিনিধিরা কথা বলেন।
ইউএনএইচসিআর জানায়, এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরীদের জীবনচিত্র অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে। সংস্থাটি পরবর্তীতে ৮৫ জন নারী ও কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে বিয়ের পরও তাদের জীবনের দুর্বিসহ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেনি। সংস্থাটি জানায়, এদের অধিকাংশেরই ১৬ অথবা ১৭ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। এবং ১৮ বছর বয়সে তাঁরা সন্তানের মা হন। এদের অনেকেই জানিয়েছেন, বিয়ের পর তারা পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
রোহিঙ্গা নারীদের অনেকেই জানিয়েছেন, তাদের প্রতি সহিংসতার সমাধান বিয়ের মাধ্যমে সম্ভব নয়। বরং উপার্জনের ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হতে পারে।

পাঠকের মতামত