কক্সবাজার সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণি ঝড় “রোয়ানু” ক্রমশঃ শক্তিসঞ্চয় করে এগুচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নং স্হানীয় হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, ঘুর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার দুপুর বারটায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্হানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার শহরসহ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কক্সবাজারে বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে জানিয়ে সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক আরো বলেন, বৃষ্টিপাত আরো বাড়তে পারে। ঘুর্ণিঝড়ের আশংকায়
দক্ষিন বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে তারা স্বল্প সময়ের নির্দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। কক্সবাজারসংলগ্ন গভীর সাগরে মৎস্য আহরণে যাওয়া ফিশিংবোট গুলো বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ফিরে আসছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটায় কক্সবাজার মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, গভীর সমুদ্রফেরত শত শত ফিশিংবোট নোঙ্গর করে আছে।
মহেশখালী কক্সবাজার নৌপথে মহেশখালীগামী একটি গামবোট দুর্ঘটনায় বোট থেকে পড়ে দুই যাত্রী নিখোঁজ হয়েছে বলে ...
পাঠকের মতামত