
পেকুয়া সংবাদদাতা::
পেকুয়ায় মুসলিম মেয়ের সাথে বড়ুয়া পরিবারের এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় জানাজানি হলে কন্যার পিতা ছেলে মেয়ে দু’জনকে থানায় হস্তান্তর করেন। থানায় মেয়ের মা বাদি হয়ে লিখিত এজাহার নিয়ে যাওয়ার পর পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদারের নেতৃত্বে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে দু’পরিবারকে মধ্যস্থতা করে দু’জনকে ছেড়ে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১২মে) সন্ধ্যায়।
অতঃপর বড়ুয়া ছেলের পরিবারের সাথে দফারফা করে মেয়ের ইজ্জতের মূল্য ২৫ হাজার টাকার নির্ধারণ করে ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় পেকুয়ার সর্বত্রে সমালোচনার ঝড় বইছে। পেকুয়ার সচেতন মহল দাবী করছেন, স্থানীয় একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে আইনের আওতায় না এনে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ওই ধর্ষককে।
মেয়ের মা রাবেয়া বসরী লিখিত এজাহারে উল্লেখ করেন, তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরী চট্টগ্রামে গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। একই সাথে তার সাথে চাকুরী করেন চট্টগ্রাম জেলার রাংগুনীয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের সাহাবদি গ্রামের দিলীপ বড়–য়ার ছেলে রাজু বড়–য়া। এ সুবাধে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের জেরে গত ১০মে তারা মেয়ে পিতা মনছুর আলমের বাড়ি সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামায় আসে। ১১মে রাতে রাজু বড়–য়া তার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষন চেষ্টা চালায়। সে সময় মেয়ের পিতা মাতা তাকে রক্ষা করে। এর আগেও তার মেয়েকে ধর্ষন করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, মেয়ের পরিবার অভিযোগ না দেওয়ায় মেয়েকে তার পিতা মাতা আর ছেলেকে ছেলের অভিভাবকের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মেয়ের পরিবার ও তাদের আত্মীয়রা দু’জকে কেন থানা হেফাজতে দিয়েছিলেন প্রশ্ন করলে তিনি এ বিষয়ে কোন ধরণের উত্তর না দিয়ে আরেক কর্মকর্তা এসআই কাঞ্চন কান্তি দাশের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এ সময় তিনি লিখিত এজাহার পাননি বলে দাবী করেন।
এব্যাপারে এসআই কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, মেয়ের পবিরাবের অভিযোগ না থাকায়, যারাই তাদের থানায় এনেছিল তাদের জিম্মায় ছেলে মেয়ে উভয়কে দিয়ে দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত