![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/image-36786-1521384974.jpg)
উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি যেকোনো মুহূর্তে অবসরে যেতে পারেন বলে জানা যায়। দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কার্য নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকের পর সু চির সরে যাওয়ার বিষয়টি আরও জোরালো হয়।
যদিও দলটির এক নেতা সু চির পদত্যাগের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, অং সান সু চি অবসরে যাবেন ব্যাপারটা তা না। তবে দলের কর্মীরা যদি কঠোর পরিশ্রম করেন, তবেই তিনি অবসরে যাবেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তিনি শিগগিরই অবসরে যাবেন।
গত ২৪ মার্চ এনএলডি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে সু চি বলেন, সম্ভব হলে তিনি পদত্যাগ করতে চান। এনএলডি প্রধান সু চির এ মন্তব্যের পর দেশটির গণমাধ্যমে তার পদত্যাগের ব্যাপারে খবর প্রকাশিত হয়।
এনএলডি’র মুখপাত্র ইউ মিও নিউন্ত বলেন, নেইপিদোতে যে বৈঠক হয়েছে সেটি ছিল শুধুমাত্র সামাজিক সমাবেশ। বৈঠকে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি। এটি ছিল অনিয়মিত একটি আলোচনা।প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করায় ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ত দেশের শীর্ষ এ পদের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির সংবিধানে সংশোধনী আনে। এতে সরকারি কর্মকর্তারা দলীয় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না বলে বিধান করা হয়। যে কারণে সামাজিক সমাবেশ অবৈধ নয়।
দলটির এক সংসদ সদস্য মিও তুন বলেন, তিনি বলেছেন তার বয়স বেড়েছে। কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহ দিতেই তিনি অবসরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন। তবে আমি আশা করি ধৈর্য এবং প্রভাব বিবেচনায় অবশ্যই তিনি (সু চি) দেশের প্রধান থাকবেন। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। আমি বিশ্বাস করি, তিনি এতে দ্বিমত করবেন না।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন মিয়ানমারের এ সু চি। দীর্ঘ বিমান ভ্রমণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন সু চি। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও একটি বৈঠকে বক্তৃতা দেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করা হয়। সেখানে অধিকাংশ সময়ই তিনি বিছানায় কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এনএলডির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইউ উইন।
পাঠকের মতামত