প্রকাশিত: ২১/১১/২০১৭ ১০:০৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:৪৭ এএম

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি ::
আইনে পাহাড় কর্তন ও মোচনের জন্য কঠোর এই নির্দেশনা থাকলেও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় এটি মানা হচ্ছে না। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বাঘানঘোনা, স্কুলপাড়া, ব্যবসায়ীপাড়া ও বিছামারা গ্রামের অভ্যান্তরে উঁচু পাহাড় কেটে নির্মিত হচ্ছে পাকা দালান। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই এসব পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী পাড়ায় তিন ভাই মিলে প্রায় ৬০ ফুট উচ্চতার ২০ শতক পাহাড় কেটে সাবাড় করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় ভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভাসমান মানুষ নাইক্ষ্যংছড়ি ঠাঁই নিচ্ছে। তারা পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি তৈরি করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারাও ওই এলাকায় পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনের অগোচরে তারা দুর্গম পাহাড়ে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে বসবাস করছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী হাকিম এসএম সরওয়ার কামালের নেতৃত্বে সেই পাহাড়ে যান কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সসেন্টের একটি দল। তাঁরা পাহাড় কাটার সত্যতা পেয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল, মাটি সরানোর দুটি ভ্যান গাড়ি, তিনটি পাওয়ার পুল হরিজেন লাইট ও পাহাড় কাটার কাজে ব্যবহিৃত নানা সরঞ্জাম জব্দ করেন।

আর এদিকে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-১৯৯৬ তে বলা হয়েছে, পাহাড় কাটা অথবা মোচনের জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র অবশ্যই নিতে হবে। ২০০২ সালের ৯ মার্চ পরিবেশ অধিদফতর এই সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করে। যেখানে বলা হয়েছে পাহাড় কর্তন ও মোচনের ক্ষেত্রে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা -১৯৫২ এবং ১৯৯৬ অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সাইফুল আশরাব বলেন- ‘হোসনে মোবারক, ফারুক ও ইয়াসির আরাফাত (তিন ভাই) মিলে ব্যবসায়ীপাড়ায় উঁচু পাহাড় কেটে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বিছামারা গ্রামে পাহাড় কেটেই মোহাম্মদ হাসান নামে এক ব্যক্তি পাকা দালান নির্মাণ করছে। স্কুল পাড়ায় রফিক ছিদ্দিকির ছেলে মোবারক ছিদ্দিক পাহাড় কেটেছে। বাগানঘোনা গ্রামে আবদুর রহমানের ছেলে ছৈয়দ আলমের নেতৃত্বে বিশলকার পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। ছৈয়দ আলম আবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের আত্মীয়ও পরিচয় দিয়েছেন। এটা দু:খজনক। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে কোন ছাড় নেই। উপজেলায় পাহাড় নিধনকারীদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী বলেন, নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় কাটার ঘটনা অহরহ ঘটছে। কিন্তু এভাবে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হলে তা শূণ্যের কোঠায় নেমে আসবে।

পাঠকের মতামত

দুই রোহিঙ্গা জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে ভৈরবে এসে আটক

জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেছিলেন দুজন রোহিঙ্গা। ...

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...