
বিশেষ প্রতিবেদক ::
টেকনাফের হ্নীলায় কতিপয় গ্রাম পুলিশের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও ওইসব গ্রাম পুলিশের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। ফলে দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠেছে হ্নীলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম। এতে করে যে কোন সময় তাদের কারণে বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে হ্নীলা ইউনিয়নের দাপুটে চৌকিদার নুরুল্লাহ ও ৩নং ওয়ার্ডের নুর হোসাইনের কারণে দীর্ঘদিন যাবত হ্নীলা ষ্টেশন ও বিভিন্ন গ্রামে নানা ধরণের সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। তারা ইয়াবা ব্যবসায়ী, মামলার আসামী, সাধারণ ব্যবসায়ীদের অনর্থক হুমকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের টাকা না দিলে টেকনাফ থানার পুলিশকে দিয়ে অযথা হয়রানি ও মামলা দিয়ে ঘর-ছাড়া করে আসছে। আবার মামলা থেকে আসামীদের নাম বাদ দিবে বলে মোটাংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক তারা। তাদের অবৈধ টাকায় বিলাসবহুল বাড়ি এখন হ্নীলার টক অব দ্যা হ্নীলায় পরিনত হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কিভাবে একজন গ্রাম পুলিশ হয়ে সামান্য বেতনে এতবিলাসবহুল বাড়ি নির্মান করতে পারে? স্থানীয়দের অভিযোগ দিনের বেলায় উক্ত গ্রাম পুলিশ নুরুল্লাহ ও নুর হোছন ইয়াবা ব্যাবসায়ী ও দাগি আসামীদের আঁতাত করে মিলেমিশে থাকে আবার সন্ধ্যা হলে পুলিশের সাথে উক্ত ব্যবসায়ী এবং আসামীদের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে টাকার মাধ্যমে রফাদফা করে আসামী ছেড়ে দেয়।
ফলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। লোকজন নিরাপদে চলাচল করতে পারছে না। বিশেষ করে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী, নাটমোরাপাড়া, সিকদারপাড়া ও ফুলের ডেইল এলাকায় একের পর এক ইয়াবার চালান আটক হলে সেখানে কাউকে না পেলে পলাতক আসামি দেয়ার হুমকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার দাগি আসামীদের গোপন যোগসাজসে তাদের ঘর-বাড়ি ও না ধরতে দিগুন টাকা আদায় করে যাচ্ছে। ফলে ক্রমেই অশান্ত হয়ে উঠছে এলাকা।
হ্নীলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, নুরুল্লাহ ও চৌকিদার নুর হোসাইন এর অত্যাচার, সহিংসতা ও মিথ্যা মামলার হুমকিতে দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠছে হ্নীলা। টাকা দিতে না পারলেই অত্যাচার, নির্যাতন বেড়েই চলেছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম শঙ্কা ও হতাশা বিরাজ করছে। রাতে অযথা থানা থেকে স্যার আসছে বলে ডেকে নিয়ে টাকা দাবী করে। টাকা দিতে না পারলে হয় ইয়াবা না হয় পলাতক আসামী বলে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আটক করে নিয়ে যাই। এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, হ্নীলা নাটমোরা পাড়া এলাকার নজির চৌকিদার এর পুত্র নুর হোসাইনের তার বাড়ির আশ-পাশে প্রায় ৫ কানির মত জমি রয়েছে। আর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আরো ৫-৭ খানি জায়গা রয়েছে তার ও তার স্ত্রীর নামে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন একজন সামান্য বেতনের চাকরী করে কিভাবে এত বিলাসবহুল বাড়ি ও এতো জায়গা-জমি তা এলাকার মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
অপরদিকে অহরহ অভিযুগের তীর সেই নুরুল্লার দিকে। এলাকায় সবাই তাকে এস, আই নুরুল্লাহ বলে ডাকে। প্রতিনিয়ত মানুষকে হুমকি ধমকি দেওয়া, প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা ইয়াবা ব্যবসায়ী ও দাগী আসামী এবং প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে নির্ভিঘেœ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন নুরুল্লাহ, নুর হোসাইন। তাই এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ তাদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত