প্রকাশিত: ১২/০৭/২০১৭ ২:৪৫ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৫২ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
ফেনীতে গৃহকর্মী নির্যাতনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। এবার গৃহকর্ত্রীর নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৪ বছরের গৃহকর্মী ফাতেমা। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ফাতেমা।

ফাতেমা পরশুরাম উপজেলার বাসপদুয়া গ্রামের বছির আহম্মদের মেয়ে।

নির্যাতনের শিকার ফাতেমার বরাত দিয়ে তার মা রাশেদা আক্তার জানান, ২ মাস আগে ফেনীর নাজির রোডে বাবু নামের এক মোবাইল দোকান ব্যবসায়ীর বাসায় মাসিক ১৭শ টাকা বেতনে তার মেয়ে ফাতেমাকে কাজে দেন। তাকে কথায় কথায় মারধর করতেন বাবুর স্ত্রী গৃহকর্ত্রী ঝিলিক। ঠিকমতো খাবারও খেতে দিতো না। শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে সামান্য কথায় ফাতেমাকে ঝাড়– দিয়ে পেটাতে থাকেন ঝিলিক। চোখে মুখে ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন।

এসময় ঝিলিক বলেন, ‘তোর কেউ নেই। তোকে মেরে ফেললে লাশ নিতে কেউ আসবে না।’এ সময় ঝিলিকের ফোন বেজে উঠলে ফাতেমাকে রেখে কল রিসিভ করতে যায়। সে সুযোগে পালিয়ে আরেকটি বাসায় আশ্রয় নেয় ফাতেমা।

পরের দিন তাকে পরশুরামের গাড়িতে করে বাড়িতে পাঠায় আশ্রয়দাতা বাসার মালিক। পরে তাকে পরশুরাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাশেদা আক্তার বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে আমার মেয়ের উপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে ঝিলিক। আমি তার শাস্তি চাই।’

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকালে পরশুরাম হাসপাতালের গিয়ে ফাতেমার হাতে পায়ে আঘাতের চিহ্ন।

ফাতেমা জানায়, ‘কাজে নেওয়ার পর থেকে তাকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো গৃহকর্ত্রী ঝিলিক।’

হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা.আবু তাহের জানান, ফাতেমাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাতে পায়ে আঘাত রয়েছে।

পরশুরাম থানার ওসি আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। ঘটনাটি যেহেতু ফেনীতে ঘটেছে, তাই ফাতেমার বাবা-মাকে ফেনী থানায় মামলা করতে বলা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে ফেনী মড়েল থানা পুলিশ গৃহকর্ত্রী ঝিলিক ও তার স্বামী বাবুকে খুঁজছে। তারা বাসা ও দোকান তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে।

পাঠকের মতামত

সেনাবাহিনীতে বড় রদবদল, ডিজিএফআইয়ের নতুন ডিজি জাহাঙ্গীর আলম

সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ে বড় ধরনের রদবদল হয়েছে। মেজর জেনারেল পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ...