গত ২ মে অনলাইন পোর্টাল পালং নিউজ২৪ ডটকম ও উখিয়া নিউজ ডটকমসহ বিভিন্ন অনলাইনে “টেকনাফে লুন্ঠিত সেই লাইসেন্সধারী অস্ত্র হাত বদলঃ জনমনে আতংক” শীর্ষক সংবাদখানা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদখানা পড়ে আমি রীতিমত হতবাক, বিস্মিত ও বাকরুদ্ধ হয়েছি। এমন বাটোয়ার, আজগুবি, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ কিভাবে পরিবেশন করতে পারে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না বা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নহে। সাংবাদিকের মত এক মহান পেশাকে কলুষিত করতে এমন আজগুবি সংবাদ প্রচার যথেষ্ট। আমার বিরুদ্ধে যতসব মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য শুধু লিখেই গিয়েছে। অথচ আমার বক্তব্য নেয়া প্রয়োজন মনে করেনি। শুধু নাম্বারটি দিয়ে বন্ধ পেয়েছি বলে দায়িত্ব শেষ করেছে।
সংবাদের একাংশে এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে উল্লেখ্য করেছে যে, ‘লুন্ঠিত একটি আগ্নেয়াস্ত্র আমার হেফাজতে রয়েছে” এবং অস্ত্রটি উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা শুরু করায় আমি এলাকা থেকে গাঁ ঢাকা দিয়েছি” বলেও উল্লেখ্য করেছে।
এছাড়া “রাতের ফকির, সকালে বাদশা” প্রবাদ দিয়ে আমার “অস্বাভাবিক উত্তান”। “বিভিন্ন প্রতারণার দায়ে আমার পরিচিত বাংলাদেশী সৌদি প্রবাসীদের তোপের মুখে ৪ বছর আগে বাংলাদেশে পালিয়ে আসি” তাছাড়াও “রাতে ইয়াবার বড়বড় চালান নিয়ে পাচারের জন্য টমটম গাড়ি ব্যবহার করতাম এবং লোভে পড়ে মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ি”। পাশাপাশি “এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য এবং বিশেষ নিরাপত্তার জন্য গড়ে তুলি একটি অস্ত্রধারী বাহিনী”।
“বাহারছড়া এলাকায় ভূমিদস্যু নামেও নাকি আমি বেশ পরিচিত” ইত্যাদি বিষয় আমার বিরুদ্ধে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের ভাষায় আমি যেন ওই এলাকার “লাদেন” কিংবা “আইএস”। যা পাঠকসহ আমার এলাকা, আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতিজন ও পরিবারকে হাসির খোরাকে পরিণত করেছে।
সংবাদে আরো উল্লেখ করেছে যে, শামলাপুর নোয়াপাড়ার হাবিব উল্লাহ থানায় অভিযোগ করলে শামলাপুর ফাঁড়ির ইনজার্চ মাসুদ আলম মুন্সি উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ঘটনার মিমংসা করে দেন এবং হাবিব উল্লাহ কর্তৃক অভিযোগের কোন প্রকার সত্যতার প্রমান পাওয়া যায়নি বলে ১০/০২/২০১৭ ইং তারিখ রিপোর্ট দাখিল করেন। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অথচ সংবাদে “নোটিশ পেয়েও উপস্থিত না হয়ে পলাতক হয়েছি” মর্মে উল্লেখ্য করেছেন। এঘটনায় আমাকে বিচারক বা মিমংসাকারীগন অভিযোগদাতা হাবিব উল্লাহসহ উভয় পক্ষের জবানবন্দী শুনে আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন। এতে আমার প্রাপ্ত ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা পাওনা থাকায় উক্ত হাবিব উল্লাহ এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে আমার সংশ্লিষ্ট রয়েছে বলে ফলাও প্রচারে নেমেছে এবং ওই হাবিব উল্লাহ ইর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ, মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলে বিভ্রান্তির পায়তারা শুরু করেছে। শুধুমাত্র আমার প্রাপ্য টাকা না দিতে এসব তালবাহনা শুরু করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
প্রকৃতপক্ষে, আমি জীবনের তাগিদে ১৯৯৬ সনে শিলখালীতে মোদির দোকানের ব্যবসা করি, পরে ২০০০ সনে সৌদি আরবে যায়। সেখান থেকে ছুটি নিয়ে মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে আসি। সর্বশেষ ২০১২ সালে আমি একেবারে নিজ জম্মভূমিতে চলে এসে ৩ টি টমটম গাড়ী কিনে ভাড়া দিই এবং আবারো মুদির দোকান দিই। এতে আমার সুন্দর জীবন যাপন ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে আসলে একটি কূচক্রী ও স্বার্থন্বেষীমহল আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার অবস্থা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা শুরু করেছে। আমার বিরুদ্ধে থানা কিংবা পরিষদে এ পর্যন্ত কোন প্রকার অভিযোগ কিংবা মামলা নেই।
এধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করে সংশ্লিষ্টদের বেকায়দায় ফেলার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং প্রকাশিত উক্ত শিরোনামের সংবাদের আমার নামে আনিত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত না হওযার বিনীত অনুরোধ করছি।
প্রতিবাদকারী-
আমান উল্লাহ
শিলখালী, বাহারছড়া।
পাঠকের মতামত