প্রকাশিত: ০১/০৬/২০১৭ ৯:৫১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:১৬ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
এবার প্রকৃতি বেশ বৈরী। অকাল বন্যায় হাওরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি নিতান্ত কম হয়নি। জ্যৈষ্ঠের খরতাপও চলছে। এদিকে রমজানে বাজার বেশ গরম। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির হার কার্যকর হচ্ছে আজ থেকে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ সময়ে ভোট হারানোর ভয়ে কোনো দেশের অর্থমন্ত্রী জনগণের বিরাগভাজন হওয়ার ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু এবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত ঝুঁকি নিচ্ছেন। এই ঝুঁকি হচ্ছে বহুল আলোচিত নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন কার্যকর করা। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হলে দ্রব্যমূল্যে প্রভাব পড়বে। চাপে পড়বেন ভোক্তা জনগণ। অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, এ আইন কার্যকর করাই হবে তার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে প্রণীত ভ্যাট আইন ২০১২ সালে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছিল। নানা জল্পনা-কল্পনার পর এবার সে আইন কার্যকর করতে যাচ্ছে সরকার।

সাধারণত বাজেট ঘোষণার আগে সব দেশের অর্থমন্ত্রী

চাপে থাকেন। ব্যতিক্রম নন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও। নির্বাচন সামনে রেখে বিদ্যুৎকেন্দ্র, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে বেশি অর্থ বরাদ্দের চাপ রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আছে বিনিয়োগ বাড়ানোর চাপ। এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের বিষয়টি। ফলে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় চাপটা অর্থমন্ত্রীর ওপর অনেক বেশি। মুহিত বলেছেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা তার জন্য কঠিন হবে। একদিকে ব্যবসায়ী মহলকে সামলানোর চাপ, অন্যদিকে সাধারণ জনগণকে স্বস্তিতে রাখার প্রচেষ্টা।

এমন এক বাস্তবতায় আজ বৃহস্পতিবার ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। আজ দুপুর দেড়টায় জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। এই বাজেট হবে বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ এবং মুহিতের ব্যক্তিগতভাবে এগারতম বাজেট।

২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচন হলে বর্তমান সরকারের মেয়াদে আরেকটি বাজেট দিতে পারবেন আবদুল মুহিত। কিন্তু সেই বাজেটটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে যেতে পারবেন না তিনি। তাই এবারের বাজেটই হবে তার পূর্ণাঙ্গ বাজেট। অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, ফলে যা কিছু চাপাচাপি করার এই বাজেটেই করবেন তিনি। জানা গেছে, বিশাল বাজেট বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত বাজেটে অধিক কর আহরণের প্রচেষ্টা থাকবে। সে জন্য কর ও ভ্যাটের আওতা আরও বাড়ানোর পদক্ষেপ থাকবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার জাতীয় সংসদে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। ঘাটতি ৫ শতাংশের কিছু বেশি। আর ৭ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনকেদ্রিক বিশাল এই বাজেট বাস্তবায়নে নিজস্ব উৎস থেকে অর্থের যে জোগান দেওয়া হবে তার বড় অংশ সংগৃহীত হবে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের মাধ্যমে। কিন্তু এ আইন বাস্তবায়নের পথ খুব একটা সহজ হবে না। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ভ্যাটের হার হবে একটিই এবং তা হবে ১৫ শতাংশ। এমন বক্তব্যের পর ব্যবসায়ীসহ সবার মধ্যে অসন্তোষ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। নতুন আইন কার্যকর হলে ভোক্তা তথা সাধারণ জনগণের ঘাড়ে করের বোঝা চাপবে। এ পরিস্থিতি সামল দিতে হবে অর্থমন্ত্রীকে। স্বপ্ন বিশাল অথচ সীমিত সামর্থ্য নিয়ে সবার মন রক্ষা করার কাজটি কতখানি করতে পারবেন অর্থমন্ত্রী তা দেখার প্রতীক্ষায় আছেন সবাই।

অর্থনীতিবিদসহ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ১৯৯১ সালে দেশে প্রথম ভ্যাট ব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল রাজস্ব প্রশাসনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ২৬ বছর পর প্রযুক্তি ও রেয়াতিনির্ভর নতুন আইন চালুর মধ্য দিয়ে রাজস্ব প্রশাসনে বড় ধরনের সংস্কার করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। লক্ষ্য রাজস্ব আয় বাড়ানো। কিন্তু যে আদলে নতুন ভ্যাট আইন ঢেলে সাজিয়েছেন মুহিত, তাতে আপত্তি আছে ব্যবসায়ীদের। ফলে শেষ পর্যন্ত আইনটি বাস্তবায়ন করতে পারলে তা হবে বাংলাদেশের রাজস্ব প্রশাসনের ইতিহাসে আরেকটি যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক ঘটনা। সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একটি সূত্র সমকালকে জানান, অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় ভ্যাটের হার কমানোর ঘোষণা থাকবে না। তবে ২৯ জুন বাজেট পাসের দিন সরকার প্রধান চাইলে জাতীয় সংসদে ভ্যাট হার কমানোর ঘোষণা দিতে পারেন।

সম্প্রতি রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত থাকায় অর্থনীতির গতি বেড়েছে। রাজস্ব আদায় মোটামুটি ভালো। শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন অর্থমন্ত্রী। তবে এ মুহূর্তে অর্থনীতিতে উদ্বেগের প্রধান কারণ দুটি। রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় কমে যাওয়া এবং বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের পাঠানো (রেমিট্যান্স) আয়ে ব্যাপক ধস নামা। আরেকটি উদ্বেগের কারণ হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগে স্থবিরতা, যা গত কয়েক বছর ধরে এক জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে মুহিতকে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড.দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বড় বাজেটের উচ্ছ্বস রয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি। আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা পিআরআইএর নির্বাহী পরিচালক ড. আইসান এইচ মনসুর বলেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করাই হবে এবারের বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ১৯৯১ সালে প্রথম ভ্যাট আইন প্রবর্তন করার সময় বিরোধিতা এসেছিল। এনবিআর ঘেরাও করা হয়। তখনকার সরকার আপস করেনি। আমি মনে করি, বর্তমান সরকার আগের সরকারের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এই সরকারের আপস করা উচিত হবে না। তিনি মনে করেন, কোনো রোগীকে সার্জারি করলে তার পরের দিন হাঁটতে পারবেন না। ঠিক তেমনি নতুন ভ্যাট আইন চালুর প্রথম বছর ভালো কিছু আসবে না। কিন্তু ২-৩ বছর পর কাঙ্ক্ষিত ফল আসবে।

জানা গেছে, রফতানিকে উৎসাহিত করতে এবারের বাজেটে ৪ হাজার কোটি টাকা নগদ সহায়তা (ক্যাশ ইনসেনটিভ) দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা থাকছে। এ জন্য ১ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব থাকছে। সরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে চায় সরকার। সে জন্য আগামী অর্থবছরে ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকার বিশাল আকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) করা হয়েছে। নতুন এডিপিতে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো অবকাঠামো খাতের বড় প্রকল্পের বরাদ্দে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সরকার মনে করছে, বড় প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হলে জিডিপির প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত হবে। এ ছাড়া বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপিতে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে।

সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ছে : এবারের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা আরও বাড়ানো হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের আওতায় বর্তমানে ৫১ লাখ উপকারভোগী মাসিক ভাতা পাচ্ছেন। প্রস্তাবিত বাজেটে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে আরও ৬ লাখ বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের মাসিক ভাতাও গড়ে ১০০ টাকা করে বাড়ছে। মুক্তিযোদ্ধার মাসিক সম্মানী ভাতার পাশাপাশি দুই ঈদে সমপরিমাণ দুটি বোনাস দেওয়া হবে। এবারের বাজেটে সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুবিধা থাকছে। এ ছাড়া হাওর অঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ থোক বরাদ্দ থাকছে।

কৃষি খাতকে উজ্জীবিত করতে প্রতি বাজেটের মতো এবারও ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার কৃষির জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি রাখা হচ্ছে। গরিব জনগণকে চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য কম দামে দেওয়ার জন্য ওএমএস অব্যাহত থাকছে। এ জন্য ৪ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও বিদ্যুৎ,পাট ও পাটজাত পণ্যে ভর্তুকি দেওয়া হবে।

আয়করে পরিবর্তন : ব্যক্তির বার্ষিক করমুক্ত সীমা বর্তমানের ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ ৭০ অথবা ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে। এ প্রস্তাব কার্যকর হলে প্রান্তিক তথা ছোট করদাতারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের আয়ে কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিবন্ধীদের জন্য বার্ষিক ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত। এই সীমা বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা হতে পারে। করপোরেট করহার অপরিবর্তিত থাকছে। অর্থ পাচার রোধে প্রচলিত আইন আরও কঠোর করা হচ্ছে। আয়কর আদায় বাড়াতে উৎসে করের বেশক’টি খাতে হার কিছুটা বাড়ানো হতে পারে। কর ফাঁকি বন্ধে অডিটে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব থাকছে। এবার সিগারেটের করহার সর্বোচ্চ পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। এ ছাড়া এই প্রথমবারের মতো বিড়িতে কর বসছে। নতুন করে কর আরোপের পাশাপাশি কিছু খাত থেকে কর প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে। জীবন বীমায় মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর প্রত্যাহার করা হতে পারে।

নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ :এবারকার বাজেটের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে নতুন ভ্যাট আইন। আইনটি প্রযুক্তিনির্ভর। এতে পণ্য ও সেবায় যে উপকরণ ব্যবহার করা হবে, তার জন্য কর রেয়াত নেওয়ার সুযোগ আছে। এ আইনের বাস্তবায়নকারী সংস্থা এনবিআর দাবি করছে, নতুন আইন ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব। আইনটি প্রয়োগ হলে দ্রব্যমূল্য বাড়বে না, বরং কমবে। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন উল্টোটা। ব্যবসায়ীরা বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে উপকরণের জন্য বেশির ভাগ ব্যবসায়ী কর রেয়াত নিতে পারবেন না। ফলে পণ্য ও সেবার উৎপাদন খরচ বাড়বে। এর প্রভাব শেষ পর্যন্ত এসে পড়বে ভোক্তা বা জনগণের ওপর।

সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে অবশ্যই মূল্যস্ফীতি বাড়বে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, রেট কমাতে হবে। যেসব খাত কর রেয়াত নিতে পারবে না, সেসব খাতে একাধিক হ্রাসকৃত হারে ভ্যাট আদায় করতে হবে। তা না হলে এ আইন বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। এনবিআর সূত্র জানায়, নতুন আইনে কৃষি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, চিকিৎসা সেবা, গণপরিবহন, মৎস্যসহ প্রায় শতাধিক পণ্য ও সেবা খাতকে ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। ফলে সাধারণ জনগণ কিছুটা হলেও করের চাপ থেকে স্বস্তি পাবেন।

আজ সংসদ কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন দেওয়া হবে। এর পরই বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। এ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের মিশনপ্রধান, গণমাধ্যম ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। রাষ্ট্রীয় বেতার ও টিভিতে বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এবারও ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাজেট পেশ করা হবে।

ওয়েবসাইটে বাজেট : বাজেটের সব তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল বাজেট ঘোষণার দিন অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে । একই সঙ্গে বাজেটের কপি জাতীয় সংসদে সরবরাহ করা হবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কে মতামত নেওয়া হবে। এসব মতামত পাওয়ার পর প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধন করা হবে এবং আগামী ২৯ জুন তা অর্থবিলের মাধ্যমে পাস হবে। ১ জুলাই থেকে নতুন বাজেট কার্যকর হবে। – সমকাল

পাঠকের মতামত

তারেকের পক্ষে নিহত তানজিমের বাড়ি যাচ্ছেন ৭ সাবেক সেনা কর্মকর্তা

কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক ...

বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীরর সদস্যকে আটক করল বিজিবি

অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত থেকে উপল কুমার দাস নামের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ...