বিশেষ প্রতিবেদক::
রাতের বেলায় বৈদ্যুুতিক আলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে জড়ো হয় পোকা-মাকড়। সেই পোকা মাকড়ের দল বৈদ্যুতিক ভাল্বের নিচে রাখা গামলা ভর্ত্তি সাবান মাখা পানিতে পড়ে আকটা পড়ে যায়। তখনই কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতরের কর্মীরা পোকা সনাক্ত করে কৃষকদের ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন। কক্সবাজার জেলায় আমন ধানক্ষেতে ‘আলোর ফাঁদ’ বসিয়ে পোকা-মাকড়ের উপস্থিতি জরিপের কাজ শুরু করা হয়েছে এভাবেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মীরা পোকা-মাকড় সনাক্তকরণ কর্মসুচি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কৃষকদের সহযোতিায় ‘আলোর ফাঁদ’ বসিয়ে ।
পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য কৃষকরা সন্দেহজনক ভাবে ক্ষেতে এমনিতেই পোকা দমনের বিষ ষ্প্রে করে থাকেন। অথচ কৃষকরা বিষ ষ্প্র্রে করেন ক্ষেতে আদৌ পোকার আক্রমণ হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত না হয়েই। আর এতে করে ক্ষেতে কৃষকের ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এ কারনেই ফসলের শত্রু ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের সনাক্তকরণ কর্মসুচি জোরদার করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আ,ক,ম শাহরীয়ার এসব কথা জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের ৮ জেলায় গত সোমবার পর্যন্ত ৭৬ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। ফসলের ক্ষতিকর পোকা- মাকড়ের উপস্থিতি জরিপ করার জন্য জেলায় ১৩৮ টি আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। এ এলাকা বাদামী গাছ ফড়িং আক্রান্ত প্রবণ এলাকা তাই পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে আলোর ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে পোকার উপস্থিতি যাচাই করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জানান, বাদামী গাছ ফড়িং ধানের একটি অন্যতম ক্ষতিকর পোকা। এ পোকার আক্রমণে ফসলের ২০% থেকে ১০০% পর্যন্ত ক্ষতি হয়। পূর্ব থেকে যাচাই এর মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কোন ক্ষতি করতে পারে না।
তিনি আরো জানান, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় বাদামী গাছ ফড়িংয়ের উৎপাত বেশী হয়। ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘন বনাঞ্চল থেকেই এসব পোকার ব্যাপক আগমণ ঘটে। এ কারনেই সমন্বিত বালাই ব্যবস্থা প্রকল্পের আওতায় এবং কৃষক উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ‘আলোর ফাঁদ’ গুলো স্থাপন করা হচ্ছে। আলোর ফাঁদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির জন্য উপজেলা কৃষি অফিসারদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত