প্রকাশিত: ৩০/০৭/২০১৭ ৭:০৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:০০ পিএম

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি::
জুয়াড়ী ও মাদক ব্যবসায়ীসহ সব ধরণের অপরাধীদের ধরে পুলিশে দেয়ার অনুরোধ করেছেন চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, অপরাধীদের কোন রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক পরিচয় নেই। তাদের পরিচয় অপরাধীই। সুতরাং অপরাধ করে কারো পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সে যতই বড়ই শক্তিশালী হোক তাকে ধরা হবে। নেয়া হবে আইনী ব্যবস্থা।

শনিবার (২৯ জুলাই) রাতে সদরের ইসলামপুর ও চকরিয়ার খুটাখালী এই দুই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা ওসি বখতিয়ার উদ্দিনের সাক্ষাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি অপরাধীদের ধরে রেখে পুলিশকে খবর দেয়ারও জন্যও বলেন।

সম্প্রতি চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী এলাকার কিছু চিহ্নিত জুয়াড়ী ও মাদক ব্যবসায়ী সদরের নতুন অফিস এলাকায় সরকারী বনভূমি দখল করে নির্মিত জুয়া ও মাদকের আস্তানা গড়ে তুলার বিষয়ে জানাতে যান এলাকাবাসী। যেটি নিয়ে দুই ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ।

এর আগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম (এমএ) এর সাথে সাক্ষাতে যান দুই ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক জনগণ। সাক্ষাতকালে তিনি এলাকাবাসীর অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে শুনেন এবং এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইসলামপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কালাম, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনজুর আলম, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আলহাজ্ব ডাঃ মীর আহমদ হেলালী, খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহাদুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বেলাল আজাদ, ইসলামপুর ইউপি সদস্য ইদ্রিস রানা, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তরুণ আইনজীবী এস.এম জসিম উদ্দিন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওসমান আলী মোরশেদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবছার কামাল শাহীন, সদর আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি প্রমুখ।

একই বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফুলছড়ি বনবিভাগ ও এলাকাবাসীর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নতুন অফিস এলাকায় সরকারী বনভূমি দখল করে নির্মিত জুয়া ও মাদকের আস্তানা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বন্ধ করে অপরাধীদের আইনের কাছে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এলাকাবাসী জানায়, খুটাখালী শিয়াপাড়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জুয়াড়ী ও মাদক ব্যবসায়ী ইমাম শরীফ প্রকাশ টুয়াইয়া, জসিম উদ্দিন, পেঠান, এনাম, আবদুর রশিদ, ফারুক, মিনহাজ, হেলাল উদ্দিন, সাহাব উদ্দিনসহ ২০/২৫ জনের একটি সিন্ডিকেট ইসলামপুরের ৫ নং ওয়ার্ডভুক্ত জুমনগর এলাকার সরকারী বনভূমিতে আস্তানা গড়ে দীর্ঘদিন মদ, জুয়াসহ নানা অপরাধকর্ম চালিয়ে আসছে।

তাতে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন হুমকিতে পড়েছে। অপরাধীদের সাথে চকরিয়া থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের যোগ সাজস রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলা হয়। অবশেষে বিষয়টি থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে সরাসরি অবগত করতে উদ্যোগ নেয় দুই ইউনিয়নের সচেতন জনগণ।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে ইসলামপুরের নতুন অফিস এলাকায় গড়ে তুলা দুইটি মদ জুয়ার আস্তানা গুড়িয়ে দেয় এলাকাবাসী। এ ঘটনায় মাদকসেবীরা প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করে এলাকার ৩ জন মারাতœক আহত হয়ে। পরে স্থানীয় নিরীহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানাও মামলা করে জুয়াড়ী ও মাদক ব্যবসায়ীরা। (মামলা নং জিআর-৩৮৯/১৭)।

পাঠকের মতামত

জেলার বিভিন্ন ইউপি কার্যক্রমে স্থবিরতা

দেশের তৃণমূল পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবস্থা। স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো তৃণমূলে বাস্তবায়ন করে ...

দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদন লাশ গুনে গুনে ক্রসফায়ার বাণিজ্যের ভাগ নিতেন কামাল-বেনজীর

ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ...