কক্সবাজার সরকারি কলেজে ফিজিকস অলিম্পিয়াডের আঞ্চলিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার ৬০টির বেশি বিদ্যালয় ও কলেজের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী এই উৎসবে অংশ নেয়। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটির উপাচার্য মো. আবুল কাশেম।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াড কমিটি যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজক। তিনটি শ্রেণিতে (ক্যাটাগরি) অনুষ্ঠিত এই অলিম্পিয়াডে সেরা তিন শিক্ষার্থী হলো কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাবাচ্ছুম মেহেরিন ও ফৌজিয়া উন্মে রুবাইদা এবং কক্সবাজার সরকারি কলেজের দিলরুবা খানম। তারা তিনজনসহ কক্সবাজারের মোট ৬০ শিক্ষার্থী ঢাকায় ফিজিকস অলিম্পিয়াডের জাতীয় উৎসবে অংশ নেবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটির উপাচার্য আবুল কাশেম বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে বিজ্ঞানকে কাজে লাগাবে। বিজ্ঞান না জানলে তথ্যপ্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকবে মানুষ।
পরে বিকেলে কক্সবাজার সরকারি কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী। বক্তব্য দেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এম এম সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী, কক্সবাজার সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুছ, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইয়াকুব ভুঁইয়া, সহকারী অধ্যাপক ও উৎসবের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মফিদুল আলম, প্রভাষক মোহাম্মদ কাসেম, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, প্রথম আলো কক্সবাজারের নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল। উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা।
ফিজিকস আঞ্চলিক উৎসবের সভাপতি অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার জেলা সব দিক থেকে উন্নত হলেও শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে। বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যাও আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। ফিজিকস অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে এ ধরনের আয়োজন ভালো ফল দেবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করেছিল ...
পাঠকের মতামত