প্রকাশিত: ০৬/০৭/২০২১ ৪:৪৮ পিএম

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ::
শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে রোহিঙ্গা নারী রোগীর ছোট বোন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। জামায়াত নেতাদের পরিচালিত জেনারেল হাসপাতালে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িত তিন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্ত চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা হচ্ছে- হাসপাতালের সিকিউরিটিম্যান নুরুল হক (২৬), লিফটম্যান আতাউর রহমান (২২) ও অফিস সহকারী মোঃ শফি (২০)। এদিকে হাসপাতালের ছাদে ১ জুলাই রোহিঙ্গা কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও জেনারেল হাসপাতাল ও এমএসএফ হল্যান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সংবাদকর্মীসহ কতিপয় অসৎ কর্মকর্তার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তদ্বিরে নেমেছে সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, এক রোহিঙ্গা নারী রোগীকে (২৩) উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতদাল থেকে এনে কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার ৬০৪/এ নম্বর সিটে ভর্তি রাখা হয়। ওই রোগীর সঙ্গে খেদমতকারী হিসেবে আসে রোগীর ছোট বোন (১৭)। কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে লিফটে করে রোগীর কিশোরী বোনটি উঠা নামা করার সময় লোলুপ দৃষ্টি পড়ে হাসপাতালের তিন বখাটের। ওই কিশোরী নিচ থেকে বোনের জন্য নাস্তা নিয়ে ৬ষ্ঠ তলায় যাবার সময় লিফট কর্মচারী তাকে গন্তব্যস্থানে নামিয়ে না দিয়ে নিয়ে যায় হাসপাতালের ছাদে। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছিল আরও দুই বখাটে। এরপর হাসপাতালটির তিন কর্মচারী মিলে ওই রোহিঙ্গা রোগীর ছোট বোনের ওপর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটায়।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শিবিরে ‘হেপাটাইটিস সি’ চিকিৎসা সম্প্রসারণে নতুন উদ্যোগ

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ‘হেপাটাইটিস সি’ সংক্রমণ মোকাবিলায় এর চিকিৎসা কর্মসূচির ব্যাপক সম্প্রসারণ শুরু করেছে ‘মেডিসিন্স ...

বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে গিয়েছিলেন কক্সবাজারে, ফেরার পথে ট্রাকচাপায় মৃ,ত্যু

বন্ধুদের সঙ্গে জয়পুরহাট থেকে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন মো. মাছুম (৪৫)। ভ্রমণ শেষে চার বন্ধু মিলে দুটি ...