

নাম শরমিন বড়ুয়া, ইয়াবা সুন্দরী হিসেবে পরিচিতি ।মাদক মামলার ৫ বছরের সাজা প্রাপ্ত তিনি। ইয়াবা পাচার সংক্রান্ত অর্ধ ডজন মামলা রয়েছ। সব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ান জারি আছে ।
৫ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে এক এক সময় এক এক নাম পরিবর্তন করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে শরমিন বড়ুয়া। পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না।
শরমিন বড়ুয়া (৩৮) হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৬৮ নম্বর রেজু মৌজার বরই তলী গ্রামের মৃত আংকি মোহন বড়ুয়ার কন্যা। স্বামীর নাম সজল বড়ুয়া হলেও মাদক সম্রাজ্ঞী হিসাবে পরিচিত শরমিন বড়ুয়ার স্থান বেধে একাধিক স্বামী রয়েছে।
জনশ্রুতি রয়েছে, উখিয়া টেকনাফের ইয়াবা গডফাদার সাবেক এমপি বর্তমানে কারা অভ্যন্তরী আব্দুর রহমান বদির সাথে মাদক সম্রাজ্ঞী শরমিন বড়ুয়ার সখ্যতা ছিল।
অভিযোগে প্রকাশ, উখিয়া,রামু নাইক্ষ্যংছড়ি, চকরিয়া,চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রংপুর কেন্দ্রিক ইয়াবা পাচারের বিস্তৃত গড়ে তুলে। আর ইয়াবার চালান পাচার করতে গিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অনেকবার গ্রেপ্তার হন তিনি।জামিনে বের হয়ে পুনরায় ইয়াবা পাচার নেমে পড়ে।
বেপরোয়া চলাফেরা এবং ইয়াবার কালো টাকায় এলাকায় লেডি সম্রাট হিসাবে খ্যাতি লাভ করে। তার রয়েছে বিশাল ইয়াবার সিন্ডিকেট নেটওয়ার্ক।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, গেল বছর ১০ হাজার পিচ ইয়াবা নিয়ে বগুড়ায় পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। এছাড়াও রংপুরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় নিজের নাম সুমি বড়ুয়া তুলী ও স্বামীর নাম কখনো লিটন বড়ুয়া নয়ন কখনো প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া এবং ভুল ঠিকানা দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। অথচ তার স্বামীর নাম সজল বড়ুয়া।
অভিযোগ রয়েছে নোটারি হলফনামা মুলে স্বামীকে ডিভোর্স দেন তিনি।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, চকরিয়া ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ইয়াবা সহ আটক হন তিনি। তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৮ টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো হচ্ছে যথাক্রমে চকরিয়া থানা জিআর ৫১৮/২২, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা জিআর ৪৯৮/২২, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ১৫২ /২২ ও ১২৪/২৩।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে শরমিন বড়ুয়া। যার মামলা নম্বর জিআর ২৭৬/২১। ইয়াবা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে সাজার আদেশ প্রদান করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতারে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
৫ বছরের সাজা ও ৮ টি মামলার ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে প্রকাশ্যে দিব্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে মাদকসম্রাজ্ঞী শরমিন বড়ুয়া। একাধিক স্বামী হাতবদল করে পুরো বাংলাদেশে তিনি ইয়াবা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। অভিযোগে প্রকাশ পুলিশের খাতার ওয়ারেন্ট তামিল করতে গিয়ে স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার ছৈয়দ আলম খোজ খবর ও অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে সাজা প্রাপ্ত আসামি শরমিন। এমনকি বাড়াবাড়ি করলে ক্যাডারবাহিনী দিয়ে তাকে গুম করবে বল হুমকি দেয়। বিষয়টি লিখিতভাবে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপারকে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, শুধু তাই নয়, মাকে অনুসরণ করে তার ছেলে প্রমিজ বড়ুয়া ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। ২০২১ সালে ৩৫০০ পিচ ইয়াবা সহ মরিচ্যা চেকপোষ্টে বিজিবির হাতে আটক হন ছেলে। রামু থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
স্থানীয় মেম্বার, বদিউল আলম জানান,তার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের একাধিক মামলা রয়েছে। তবে আত্মগোপনে থাকেন তিনি।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, মাদক সম্রাজ্ঞী শরমিন বড়ুয়া অঢেল সম্পত্তির মালিক। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের পাশাপাশি বগুড়া ও রংপুরে পীরগন্জে বাসা বাড়ি রয়েছ। মূলত সেখানে বসেই উখিয়া,টেকনাফ থেকে চালান সংগ্রহ করে সারাদেশে ইয়াবা পাচারের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।
সচেতন মহলের মতে গোয়েন্দা নজর ধারী বাড়ানো হলে অপ্রতিরোধ্য ইয়াবা সুন্দরী শরমিন বড়ুয়াকে আটক করতে সক্ষম হবে।
পাঠকের মতামত