র্যাব জানায়, অভিযানে একটি আবাসিক হোটেল থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় অপহরণকারী চক্রের হোতা কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুক্তিপণের দাবিতে খুলনায় অপহৃত স্কুলছাত্রীকে সাত দিন পর কক্সবাজার থেকে উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণে জড়িত এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম চৌধুরী জানান, বুধবার গভীর রাতে কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা বিচ পয়েন্ট এলাকায় উদ্ধার ও গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তার কিশোরের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া ছাত্রী খুলনার খালিশপুর থানা এলাকার একটি স্কুলে পড়ে।
থানায় হওয়া এজাহারের বরাতে র্যাব কর্মকর্তা আবুল কালাম চৌধুরী জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের মতো বাসা থেকে বের হয়ে খুলনার খালিশপুর থানার টিঅ্যান্ডটি অফিস সংলগ্ন এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যায় স্কুলছাত্রী। ওই দিন সন্ধ্যার পরও বাসায় না ফেরায় স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে স্থানীয়দের কাছে জানতে পারেন, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য মোবাইল ফোনে ছাত্রীর মায়ের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না দিলে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর অপহৃতের মা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় এজাহার করেন।
আবুল কালামের ভাষ্য, র্যাব-৬ সদস্যরা ঘটনাটি জানার পর স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে স্কুলছাত্রীসহ অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের কক্সবাজার অবস্থানের তথ্য পায় বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার গভীর রাতে কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা বিচ পয়েন্ট এলাকায় র্যাব-১৫-এর সদস্যদের সহায়তায় অভিযান চালানো হয়।
র্যাব জানায়, অভিযানে একটি আবাসিক হোটেল থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় অপহরণকারী চক্রের হোতা কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া ছাত্রী ও গ্রেপ্তার আসামিকে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম চৌধুরী
পাঠকের মতামত