প্রকাশিত: ২৮/০৬/২০১৬ ৯:২৬ এএম

চট্টগ্রাম: নগরীর জিইসি মোড়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার পর নবী নামে ঘাতক মিতুর পেটে ছুরি মারে। আর এসময় ছেলে মাহিরকে ধরে রাখে আনোয়ার। মাহির চিৎকার করে আকুতি জানায়, আনোয়ারের পায়ে পড়ে হাতজোড় করে বলে, ‘তোমরা আমার মাকে মেরো না, তাকে ছেড়ে দাও।’ কিন্তু তাতে খুনিদের মন গলেনি। নবী মিতুর পেটে উপযুপরি আটবার ছুরি মারে।

গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুন অর রশীদের আদালতে জবানবন্দিতে মিতু হত্যাকাণ্ডের এমন বর্ণনা দেন আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জবানবন্দির  বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ কলেও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে এসব জানা গেছে।

সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে তারা বলেন, হত্যার উদ্দেশ্য সম্পর্কে না জেনেই মূলত টাকার বিনিময়ে মিতুকে হত্যা করতে ৭ জনের একটি টিম অংশ নিয়েছিল। আবু মুছা নামে এক ব্যক্তির নির্দেশনাতেই পুরো মিশনটি পরিচালিত হয়। হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীরা হলো- আবু মুছা, ওয়াসিম, আনোয়ার, রাশেদ, নবী, কালু ও শাহজাহান। মুছা নিজেকে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তার সোর্স বলে দাবি করেছিলেন বলে জবানবন্দিতে জানান ওয়াসিম ও আনোয়ার।

এছাড়া অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে ভোলা নামে একজনের নামও উঠে এসেছে জবানবন্দিতে।

খুনের বর্ণনায় আনোয়ার জানান, মিতুকে ছুরিকাঘাত করার সময় তার সাথে থাকা ছেলে মাহিরকে আনোয়ার নিজে ধরে রাখেন। সেসময় মাহির তার মাকে না মারতে আনোয়ারের পা ধরে করজোড়ে আকুতি করে বলে, ‘তোমরা আমার মাকে মেরো না, তাকে ছেড়ে দাও।’ তারপরও নবী মিতুকে উপর্যুপরি আটবার ছুরিকাঘাত করে এবং ওয়াসিম মিতুর মাথায় গুলি করে।

অবশ্য ওয়াসিম জবানবন্দিতে বলেন, মিতুর মাথায় গুলি করে আবু মুছা। ওই গুলিতেই তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়। তবে নিজে গুলি করেছিলেন কিন্তু সেটি মিস ফায়ার হয়ে বলে স্বীকার করেছেন ওয়াসিম।

গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার দাবি করেন, ওয়াসিমের গুলিতেই মিতুর মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। পরদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই)। তবে মামলার মূল তদন্তে আছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। যদিও সবগুলো সংস্থা মিলে ইতোমধ্যে রহস্য উদঘাটনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলেও দাবি পুলিশের।

বাংলামেইল২

পাঠকের মতামত

ভারত নিজেদের রোহিঙ্গাদের পুশইন করছে, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল

ভারত সে দেশের শরণার্থী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ পুশইন করছে জানিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) ...

এবার আরাকান আর্মি নিয়ে যা বললেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ...