প্রকাশিত: ২৬/০৮/২০১৭ ৪:৫৯ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:৩৩ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যের উত্তেজনা এখনও চলছে। গ্রামের পর সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শনিবার মিয়ানমারের পত্রিকা মিজিমা খবর দিয়েছে, সংঘর্ষ এলাকার ক্ষেতখামারে মিলছে রোহিঙ্গাদের লাশ। রাখাইন রাজ্যে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পুলিশ পোস্টে হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সংঘর্ষ হয়।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচির কার্যালয় থেকে জানানো হয়, সংঘর্ষে ৭১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহী ও ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা যোদ্ধারা পুলিশ পোস্টে হামলা এবং একটি সেনাঘাঁটিতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে এ সংঘর্ষ হয়।

কর্তৃপক্ষের বরাতে মিজিমা’র প্রতিবেদনে বলা হয়, জঙ্গিদের হামলায় নিহত বেড়ে ৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে ক্ষেতখামারে এখনও মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহতের সংখ্যা না বাড়লেও শনিবার আরও ১৮ রোহিঙ্গা যোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সবমিলে ৭৭ রোহিঙ্গার লাশ পাওয়া গেছে।

মূলত মাওন তাও, বুথিডাং ও রাথেডং গ্রামের ক্ষেত ও সড়ক থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা সবাই গুলিবিদ্ধ ছিলেন।

একই এলাকায় গতবছরের অক্টোবরে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হন। এরপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা এলাকায় হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা গ্রামের পর গ্রাম ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংগঠন দাবি করে, সেনারা রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণও করেছিল।

ওই ঘটনায় রোহিঙ্গাদের আন্দোলনের ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং তাদের নাগরিকত্ব প্রদানে জাতিসংঘের সাবেক প্রধান কফি আনানের নেতৃত্বাধীন একটি প্যানেলের আহ্বানের কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলার ঘটনা ঘটল।

সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের অন্তত ২৫টি পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় এক হাজার রোহিঙ্গা যোদ্ধা জড়িত। কিন্তু তাদের সঙ্গে ওই তিন গ্রামের অস্ত্রধারী অনেকে অংশ নেন।

আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি (এআরএসএ) এক টুইট বার্তায় হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা কিংবা কতজন ওই হামলায় অংশ নিয়েছিল এ বিষয়ে কিছু বলেনি।

মিয়ানমার বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে এআরএসএ জানায়, তারা ২৫টির বেশি এলাকায় আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

সংগঠনটি দাবি করে, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলীয় রাথেতুয়াং শহর এলাকা গত দুই সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ। সেখানে রোহিঙ্গারা না খেয়ে মারা যাচ্ছেন। মাউংদোতেও তারা যখন একই কাজ করতে যাচ্ছিল, তখন বার্মিজ উপনিবেশিক বাহিনীকে হটাতে চূড়ান্ত পর্যায়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছি।

আইএম

পাঠকের মতামত

স্বাভাবিক পথে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে খাদ্যপণ্য, টেকনাফে ফিরছে যাত্রী

অবশেষে স্বাভাবিক হচ্ছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল। দীর্ঘ ৩৩ দিন পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাতায়াত করছে ...