
নাগরিকত্বসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সমাবেশকে ভালো চোখে দেখছে না সরকার। আশ্রয় শিবিরে এ ধরনের জমায়েত করার এখতিয়ার তাদের আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন আজকের বাংলাদেশে অংশ নিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রত্যাবাসন প্রশ্নবিদ্ধ করতেই মিয়ানমার অসত্য বক্তব্য দিচ্ছে।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়ের দুই বছরে কুতুপালং ক্যাম্পে মাঠে জড় হন রোহিঙ্গারা। সমাবেশে নাগরিকত্বসহ আবারও ৫ দফা দাবি সামনে আনে তারা। তবে পরিকল্পিত এই সমাবেশকে ভালভাবে নেয়নি সরকার।
নিজ দেশে ফেরত যাবার পর তাদের দাবি আদায়ে সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। পাশাপাশি এর পেছনে কোনো মহলের ইন্ধন আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দ্বিতীয়বারেও প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হওয়ার দায় মিয়ানমারকে দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করতেই অসত্য বক্তব্য দিচ্ছে নেপিদো। দায় চাপানোর অপচেষ্টা করছে বাংলাদেশের ওপর।
প্রত্যাবাসনসহ এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানন্তরের পরিকল্পনা নিয়ে সরকার নতুন করে ভাবছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পাঠকের মতামত