
ইসলামাবাদ: কাশ্মীর নিয়ে বিরোধ সমাধানে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সংলাপে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সহায়তার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ এক বিবৃতিতে এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, ‘ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অবিলম্বে রক্তপাতের অবসানসহ জম্মু ও কাশ্মীরের বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য বহুজাতিক পদক্ষেপকে আমরা সমর্থন করি।’
চলতি সপ্তাহে দু’দিনের সফরে নয়াদিল্লি আসেন তুর্কি নেতা এরদোগান। সফরে তিনি একটি সাক্ষাত্কারে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশকে তুরস্কের বন্ধু হিসাবে বর্ণনা করেন এবং কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে তিনি সহায়তার প্রস্তাব দেন।
মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য বিভক্ত এবং উভয় দেশই এটিকে পুরোপুরি তাদের বলে দাবি করে আসছে। এছাড়াও, কাশ্মীরের ছোট একটি অংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
১৯৪৭ সালে কাশ্মীর বিভাজিত হওয়ার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্য তিনটি যুদ্ধ হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিরোধ গ্রুপগুলি ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করছে। তারা স্বাধীন অথবা প্রতিবেশি পাকিস্তানের সঙ্গে একীকরণ হতে চাচ্ছে।
আজিজ বলেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মানবাধিকার বিষয়ক সমস্যা সমাধানে এবং বিতর্কের সমাধানের লক্ষ্যে গৃহীত সকল প্রচেষ্টাকে পাকিস্তান সবসময় স্বাগত জানায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সংলাপের জন্য ভারত প্রস্তুত বলে দেশটির পাল্টা প্রস্তাব বিশ্বাসযোগ্য নয় কারণ গত দুই দশকে কাশ্মীরের সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক সুস্পষ্ট সংলাপের সকল সুযোগকে ভারত চ্যালেঞ্জ করেছে।’
ভারতীয় গণমাধ্যমের মতে, এরদোগানের প্রস্তাবকে দিল্লি ‘স্পষ্টভাবে’ বাতিল করে দিয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান কেবল ইসলামাবাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সম্ভব।
১৯৮৯ সাল থেকে কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৭০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। বিতর্কিত এ অঞ্চলে ভারত ৫০ লাখেরও বেশি সৈন্যকে মোতায়েন রেখেছে।
সূত্র: আনাদুলো এজেন্সি
পাঠকের মতামত