প্রকাশিত: ২৯/০৮/২০১৭ ৭:০২ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:২৬ পিএম

দিল্লি: ভারতের আলোচিত ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমকে নিয়ে যখন আদালত চত্তর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার তখন তার পাশে বসে থাকা এক নারীর পরিচয় নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অবশ্য সব ধোঁয়াশা পরিষ্কার হয়ে যায়। জানা যায় ইনি নাকি গুরমিতের তৃতীয় কন্যা, হানিপ্রীত।

তবে এই মুহূর্তে আরো বেশি আলোচ্য বিষয় হল, গুরমিত এবং হানিপ্রীত দু’জনেরই একান্ত ইচ্ছা ছিল, রোহতাকের জেলে তাদের যেন একসঙ্গে রাখা হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাম রহিম এবং হানিপ্রীত দু’জনেই পঞ্চকুলার সিবিআই আদালতে আবেদন রেখেছিলেন যাতে তাদের জেলে একসঙ্গে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান ফর্মাল পিটিশন দায়ের করেছিলেন।

অন্যদিকে হানিপ্রীত তার আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন। তার বক্তব্য তিনি আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ এবং বাবা রাম রহিমের মাইগ্রেন এবং পিঠের ব্যাথার চিকিৎসা একমাত্র তিনিই করতে পারবেন।

সিবিআই আদালত অবশ্য আবেদন খারিজ করে দিয়ে জানায়, এই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার এবং জেল কর্তৃপক্ষেরই রয়েছে।

এর পর জেল কর্তৃপক্ষের কাছে রাম রহিম এই আবেদন রাখেন। জেলের পক্ষ থেকে যখন জানানো হয় একজন পুরুষের সঙ্গে একজন নারীকে একসঙ্গে জেলের ভিতর থাকতে দেয়ার কোনো নিয়ম নেই, তখন জেল কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেন ডেরা প্রধান। বলেন, যদি হানিপ্রীতকে তার সঙ্গে থাকতে দেয়া না হয় তাহলে তাদের প্রত্যেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করিয়ে ছাড়বেন।

প্রভাবশালী গুরমিত রাম রহিমের পক্ষ থেকে এতটাই চাপ সৃষ্টি করা হয় যে অবশেষে জেল কর্তৃপক্ষ হানিপ্রীতকে ডেরা প্রধানের সঙ্গে প্রায় ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট জেলের ভিআইপি অবসর কক্ষে একা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তবে এতেও শান্ত করা যায়নি বাবা ও তার কন্যাকে! তাদের দাবি ছিল রাতেও একসঙ্গে থাকতে দিতে হবে। তাতে জেল কর্তৃপক্ষ রাজি না হওয়ায় আরো বেশ কিছুক্ষণ হম্বিতম্বি চালান দু’জনেই।

ফেসবুক প্রোফাইলে নিজেকে ‘বাবার পরি’ বলে পরিচয় দেন হানিপ্রীত। প্রিয়াঙ্কা তানেজা ওরফে হানিপ্রীতকে ২০০৯ সালে দত্তক নেন গুরমিত।

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে

পাঠকের মতামত

বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কলকাতার হাসপাতালের

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার জেএন রায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না ...

জান্তাপ্রধানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানার আবেদনকে স্বাগত বাংলাদেশের

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো এবং তাদের একটি বড় অংশকে বাস্তুচ্যুত ...

মিয়ানমার জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগে মিয়ানমারের সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা ...

চীনের মধ্যস্থতা: মিয়ানমার জান্তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বিদ্রোহীরা

মিয়ানমার–চীন সীমান্তে এক বছর ধরে চলা লড়াইয়ের পর মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত শক্তিশালী ...

ঘুমধুম ইউপি’র প্যাড-ভুট্রো মেম্বারের প্রত্যয়নে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে গরু পাচার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চোরাচালানের অভয়ারণ্য ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে পাচার করে আনা অবৈধ গরু-মহিষের ...