ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৩/০২/২০২৫ ১:০৩ পিএম

মালয়েশিয়া সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) এবং সরকারিভাবে নিবন্ধিত শরণার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সামাজিক সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা করছে। একইসঙ্গে এর আওতায় তাদের বৈধভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বিভাগের (ফেডারেল টেরিটরিজ) মন্ত্রী ড. জালিহা মুস্তাফা। তিনি বলেন, ‘এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে বিভিন্ন খাতের শ্রম চাহিদা ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।’

মালয় দৈনিক বেরিতা হারিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাতে মালয় মেইল ও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানিয়েছে, সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, মালয়েশিয়ায় থাকা সকল শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী সরকারিভাবে নিবন্ধিত হওয়ার পরই এই অনুমোদন কার্যকর হবে।

দেশটির বর্তমান সরকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের নির্দেশিকা নম্বর ২৩: শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যবস্থাপনা নীতি ও প্রক্রিয়া (২০২৩ সংস্করণ) বাস্তবায়ন করছে, যা গত বছরের ১৪ জুন প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন। ড. জালিহা আরো বলেন, ‘এই নির্দেশিকা সরকারের কাঠামো নির্ধারণ করেছে, যেখানে শরণার্থীদের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার ভূমিকা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।’

দেশটির সংসদ ‘দেওয়ান রাকিয়াতে’ পাকাতান হারাপান (পিএইচ)-এর সংসদ সদস্য তেরেসা কক সুহ সিম (সেপুতে) জানতে চান, মালয়েশিয়ার শ্রমিক সংকট মোকাবিলার জন্য ইউএনএইচসিআর স্বীকৃত শরণার্থীদের বৈধ কর্মসংস্থানের অনুমতি দেয়া হবে কি-না?

এ প্রসঙ্গে ড. জালিহা বলেন, ‘মালয়েশিয়া ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন বা ১৯৬৭ সালের শরণার্থী প্রটোকলের স্বাক্ষরকারী নয়। তবে মানবিক বিবেচনায় সরকার রোহিঙ্গা ও অন্যান্য শরণার্থীদের সামাজিক সহায়তা দিয়ে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার এই গোষ্ঠীগুলোকে সাময়িকভাবে থাকার অনুমতি দিয়েছে, তবে শর্ত হলো তারা বিদ্যমান আইন মেনে চলবে এবং পরে তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসিত হবে বা নিজ দেশে ফিরে যাবে।’

প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ, আর্থিক সহায়তা ও সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি, শ্রমবাজারে দক্ষতা অনুযায়ী অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনাসহ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে শরণার্থীদের অধিকতর স্বীকৃতির সুবিধা পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। শিগগিরই এ বিষয়ে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

বৈশ্বিক অনুদান কমায় রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিশু শিক্ষার পরিস্থিতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান ...

যে কারনে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ট্রাম্প

এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পাবলিকান আইনপ্রণেতা ...

ট্রাম্পের অনুরোধে ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছে কাতার

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তেহরানকে রাজি করাতে মধ্যস্থতা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ...