ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১১/০৫/২০২৪ ১১:৩০ এএম

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে ঈদ উপলক্ষে চালু হওয়া স্পেশাল ট্রেনটি নিয়মিত চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) দপ্তর থেকে। ট্রেনটি এক ট্রিপের পরিবর্তে দুই ট্রিপ (দুই জোড়া) চালানো এবং ১০ বগির স্থলে ১৮ বগিতে চালালে যাত্রী চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রেলওয়ের ভাবমূর্তি ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে বলে প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঈদ স্পেশাল নামে চালু হওয়া এই ট্রেনটি গত ৮ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত মোট ২৫ দিনে (৩দিন চলাচল বন্ধ ছিল) ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬২ টাকার রাজস্ব আয় করেছে। গতকাল রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) দপ্তর থেকে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি দিনে এক ট্রিপের পরিবর্তে দুই ট্রিপ (দুই জোড়া) চালানোর জন্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এই প্রস্তাব যাবে ঢাকায় রেল ভবনে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) দপ্তর থেকে জানা গেছে, গত ঈদে যাত্রী সাধারণ ও পর্যটকদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ৮ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে একজোড়া স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। যা এখনো চালু আছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে প্রচুর যাত্রী চাহিদা থাকায় দুইবার মেয়াদ বর্ধিত করে ট্রেনটি ২০ মে পর্যন্ত পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ্য, কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি ১০ বগির স্থলে ১৮ বগি নিয়ে চালানো হলে যাত্রী চাহিদা যেমন মেটানো সম্ভব হবে তেমনি রাজস্ব আয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে গতকাল রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) দপ্তর থেকে এক চিঠির মাধ্যমে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এই ব্যাপারে ডিআরএমএর দপ্তার থেকে গতকাল পাঠানো এক প্রস্তাবনায় বলা হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি মোট ২৫ দিন ট্রেনটি (৩দিন চলাচল বন্ধ ছিল) চলাচল করেছে। এই ২৫ দিনে এই লোকাল স্পেশাল ট্রেনটি থেকে ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬২ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণের ভ্রমণের সুবিধার্থে বর্তমানে ১০/২০ লোডে (১০ বগিতে) পরিচালিত কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটির লোড বৃদ্ধি করে ১৮ বগিতে নিয়মিত চালুর পাশাপাশি আরো এক জোড়া ট্রেন পরিচালনা অতীব প্রয়োজন। ১৮/৩৬ লোডের এক রেকের ডাবল ট্রিপ দিয়ে রেলওয়ের টাইম টেবিল–৫৩ অনুযায়ী ট্রেনটি পরিচালনা করা এবং বুধবার সাপ্তাহিক বন্ধ নির্ধারণ করা যেতে পারে বলেও ডিআরএমএর প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়। এই প্রস্তাবনা অনুযায়ী ট্রেনটি পরিচালনা করা হলে যাত্রী চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রেলওয়ের ভাবমূর্তি ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) দপ্তর থেকে প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো এই প্রস্তাব ঢাকায় রেল ভবনে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তবে গতকাল রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এক শীর্ষ কর্মকর্তা আজাদীকে জানান, রেল ভবন থেকে এই প্রস্তবনার অনুমোদন পাওয়া যাবে। সুত্র: আজাদী

পাঠকের মতামত

মনোনয়নপত্র বিতরণ কাল; উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নির্বাচন ৮ নভেম্বর

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার (১ ...

উন্মুক্ত হলেও সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ : পর্যটকহীনতা ও শর্তই মূল বাধা

সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরও নভেম্বর মাসে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ ...

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মা’ই’ন বিস্ফোরণে আহত বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যু

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হওয়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ...

উখিয়া হাসপাতাল ১০০ শয্যায় উন্নীত না হলে চিকিৎসা সংকট বাড়বে!

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আধুনিকায়ন ও ৫০ শয্যা থেকে ...