![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/2016/06/traffic-police-ট্রাফিক-পুলিশ.jpg)
শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর ::
কক্সবাজার – চট্রগ্রাম সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ইসি সার্ভিস থেকে মাসোহারার নামে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডুলাহাজারা হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে। এতে বিপাকে পড়ছে কিস্তিতে গাড়ি ক্রয় করা মালিকরা। ভুক্তভোগীরা জানান, ডুলহাজারা হাইওয়েতে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে তাদের দাবীকৃত টাকা না দিলে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। অথচ এই গাড়ীগুলো শহরে প্রবেশ করেনা বললেই চলে। মাঝে মধ্যে চকরিয়ায় মিকানিকের কাছে মেরামতের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় চাঁদা দাবি করে গাড়ি প্রতি ৯ হাজার টাকা। যারা উক্ত টাকা দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে নেয় তারা ছাড়া অন্য সব গাড়ি হাইওয়ে অফিসে নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন অযন্তে অবহেলায় ফেলে রাখে। ২ অক্টোবর সরেজমিনে দেখা যায় অনেক অবৈধ মোটর সাইকেল জব্দ করে নিয়ে যায় হাইওয়ে অফিসে পরে দেখা যায় ৭ হাজার টাকা নিয়ে এসব অবৈধ মোটর সাইকেল ছেড়ে দিচ্ছে। বেশ কয়েক দিন ধরে তাদের বেপরোয়া ব্যবহারে সাধারণ যাত্রীসহ গাড়ি মালিকরা অসহায় হয়ে পড়েছে। এরপরেও অযৌক্তিকভাবে হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে এ সার্ভিসের মালিক-শ্রমিকদের। মালিক পক্ষের আমান উল্লাহ ও আবদুর রহমান সওদাগর জানান, ট্রাফিক পুলিশের অন্যায্যদাবী মোতাবেক চাঁদা না দিলে অহেতুক গাড়ী আটক করে মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে কোন রসিদ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায় করে নিজেরা দিনের পর দিন অবৈধভাবে ভাগ বাটোয়ারা করে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এদিকে দৈনিক গাড়িগুলোর আয় ও এভাবে অবৈধভাবে চাঁদা দেয়ার কারণে কিস্তিতে নেয়া গাড়ি মালিকরা যথাসময়ে কিস্তি দিতে না পারার কারণে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান টাটা কোম্পানি একাধিক গাড়ি জব্ধ করে নিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে মালিকদের লোকসান দিয়ে পথে বসা ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই বলে জানান। পুলিশ ডিউটির জন্য মাসে ৬/৭ বার গাড়ী দিয়েও রক্ষা পাচ্ছেনা হয়রানি থেকে। এ ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সময়ে রিকুইজিশনতো আছেই। ডুলাহাজারা ট্রাফিক পুলিশের এসআই রুহুল আমিন যোগদানের পর থেকে এ অপকর্মে জড়িত বলে জানান চালক শ্রমিকরা। অন্যন্য সার্জেন্টরা স্যারের অর্ডার পালন করে যাচ্ছে বলে জানান এ প্রতিবেদককে। ইতিপূর্বে বিদায়ী পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে জেলা পরিষদ প্রশাসকের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও তার বিদায়ের পর ফের এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগী মালিক-শ্রমিকরা জানান, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানী বন্ধ না হলে পুলিশ সুপার ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিসহ পুলিশ সদর দপ্তর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রাণালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানান মালিকপক্ষ। উক্ত হয়রানি রোধে নবাগত পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে ডুলাহাজারা ট্রাফিক পুলিশের এসআই রুহুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন মন্তব্য করতে চায়নি। যাচাই বাছাই করে সংবাদ পরিবেশনেরও অনুরোধ জানান তিনি।
পাঠকের মতামত