ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৫/১২/২০২২ ৫:৪৩ পিএম

তিনদিনের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে ছুটে এসেছে প্রায় পাঁচ লাখ পর্যটক । আজ রোববার (২৫ ডিসেম্বর) শেষ হচ্ছে বড়দিনসহ তিনদিনের ছুটি। ছুটির শেষ দিনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সমুদ্র সৈকতের লাবনী, কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, সৈকতের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুধু পর্যটক আর পর্যটক । এসব পর্যটকরা শীতের মিষ্টি রোদে বালিয়াড়িতে ছোটাছুটি করছে আবার কেউবা সমুদ্রের লোনা জলে গা ভাসাচ্ছেন।

ইট-পাথরের শহর থেকে বেরিয়ে পরিবার নিয়ে উন্মুক্ত একটা পরিবেশে এসে খুব ভালোই সময় কাটাচ্ছেন তারা

দিনাজপুর থেকে আসা পর্যটক সমির মল্লিকা বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাম শুনলেই ভালো লাগে। আর এখানে এসে সমুদ্রের লোনা জলে স্নানের আনন্দ কেমন সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারে এখন অনেক পর্যটন স্পট রয়েছে । যেসব জায়গায় গেলে মন ভালো হয়ে যায়।

পর্যটক মরিয়ম নওয়াজ বলেন, পরিবারের সঙ্গে এসেছি। সবাই খুব মজা করছে। বরাবরের মতোই প্রকৃতির টানেই আমাদের কক্সবাজার চলে আসা।

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক ইমরান হোসাইন জানান, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতসহ সকল পর্যটন কেন্দ্র দেখতে খুবই চমৎকার, তবে এখানে হোটেল রুম ভাড়া ও খাবারের দাম বেশি হওয়ায় পর্যটকদের কাছে ধীরে ধীরে বিরক্তির কারণ হতে পারে।

সৈকতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সি সেইফ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ সিফাত জানান, সমুদ্র পাড়ে সকাল থেকে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। বাড়তি পর্যটকের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে লাইফগার্ড সদস্যরা। সৈকতে নিরাপত্তা নিয়ে ঘাটতি নেই। সমুদ্রে গোসল করতে গিয়ে যাতে কোনো দুর্ঘটনায় পড়তে না হয় সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, তিনদিনের টানা ছুটির আজ রোববার শেষ দিন। এই তিনদিনে কক্সবাজারে প্রায় ৫ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটেছে। স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ থাকায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় থাকবে। কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। অতিরিক্ত পর্যটক আগমনের কারণে কিছু পর্যটক রুম পায়নি এ ধরনের তথ্যও রয়েছে ।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, স্বাভাবিকভাবে বিপুল সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ টহল বাড়িয়েছে। পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে নজরধারি করা হচ্ছে। পর্যটকদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান জানান, পর্যটক হয়রানি রোধ এবং পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক টিম। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

উখিয়ার পূর্ব দরগাহ বিল দক্ষিণপাড়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন

উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের পুর্ব দরগা বিল দক্ষিণপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ...