
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে পর্যটন নগরী কক্সবাজার সফর করেছিলেন। রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি নয়, বরং মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াতেই তিনি এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছিলেন।
২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর সকালে ঢাকা থেকে সড়কপথে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হন বেগম খালেদা জিয়া। পথে ফেনীর মহিপালে তাঁর গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটলেও তিনি দমে যাননি। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একরাত কাটিয়ে ২৯ অক্টোবর দুপুরে তিনি কক্সবাজারের পথে রওনা হন।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আসার পথে পটিয়া, চন্দনাইশ, দোহাজারী, লোহাগাড়া, চকরিয়া ও রামুসহ প্রতিটি পয়েন্টে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তাঁকে একনজর দেখতে ভিড় জমান। দীর্ঘ ৫ বছর পর (এর আগে ২০১২ সালে রামু ট্র্যাজেডির সময় এসেছিলেন) প্রিয় নেত্রীকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ২৯ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তিনি কক্সবাজার সার্কিট হাউসে পৌঁছান।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন:
৩০ অক্টোবর সকালে তিনি উখিয়ার বালুখালী, ময়নারঘোনা ও হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি সরাসরি নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনেন এবং শিশুদের আদর করেন। বিএনপির পক্ষ থেকে ৪৫ ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী সেনাবাহিনীর ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া তিনি বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের একটি মেডিকেল ক্যাম্পও উদ্বোধন করেন।
সফর শেষে ৩১ অক্টোবর তিনি সড়কপথেই পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেন। এরপর নানা রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আর সমুদ্র সৈকতের এই জনপদে ফিরতে পারেননি। তাঁর মৃত্যুতে কক্সবাজারের বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে সেই সফরের স্মৃতিগুলো নতুন করে দাগ কাটছে।

পাঠকের মতামত