ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১১/১২/২০২৪ ৪:৪৮ পিএম , আপডেট: ১১/১২/২০২৪ ৫:১৪ পিএম

কক্সবাজারের ইউনিটস আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুল হাসানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্তরা র‍্যাব-১০–এ দায়িত্ব পালনকালে এক ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, অর্থ আদায় ছাড়াও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা মামলা করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন শিউলি খাতুন। অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডির হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন র‍্যাব-১০–এর সুবেদার কাজী বদরুল আলম, পুলিশের পরিদর্শক মফিজুল আলম, এসআই আইয়ুব হোসেন, অশোক কুমার হালদার ও আনিছুর জামান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান।

মামলার বরাত দিয়ে এই আইনজীবী জানান, এএসপি ফখরুল হাসান র‍্যাব-১০ এ দায়িত্ব পালনকালে ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল ঝিকরগাছার কাশীপুর গ্রামের শাহজাহান ও তাঁর নবম শ্রেণি পড়ুয়া সন্তান রায়হান কবিরকে তুলে নিয়ে একটি গোডাউনে আটকে রাখেন। সেখানে দুই দিন ধরে বাবা-ছেলের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালান। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জমি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লিখে নেন ও চেকের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন। সব হারিয়ে শাহজাহান মালয়েশিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি মালয়েশিয়া চলে যান। কিন্তু আগের দিন ১৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে এএসপি ফখরুল হাসান ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় শাহজাহানকে আসামি করে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে। এতে প্রবাসে ফেরারি জীবন-যাপন করছেন শাহজাহান।

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ফখরুল হাসান বাদীর সম্পর্কে আত্মীয় হন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ফখরুল হাসান বাদীর জমি লিখে নেন। পরবর্তীতে বাদীর স্বামীর নামে যাত্রাবাড়ী থানায় অস্ত্র ডাকাতির মিথ্যা মামলা রেকর্ড করেন। তখন বাদীর স্বামী তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা করতে পারেননি। বর্তমানে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় এখন তিনি মামলা দায়ের করলেন।

মামলার বাদী শিউলি খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী একজন সহজ-সরল মানুষ। তিনি পেশায় একজন কৃষক। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জেরে তার নামে তৎকালীন এএসপি ফখরুল হাসান যাত্রাবাড়ী থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার স্বামী-সন্তান ঘরে আটকে রেখে মারধর করে জমি লিখে নেয়। কিছু টাকা পয়সা ছিল ব্যাংকে সেগুলো ব্লাংক চেক দিয়ে ব্যাক থেকে উঠায় নিছে। এরপর আমার স্বামী যখন ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় যায় মালয়শিয়ার ফ্লাইট ধরার জন্য ঢাকায় যায়। এরপর ২০ তারিখের টিকিটে মালয়শিয়া চলে যায়। কিন্তু ১৯ জানুয়ারি রাত ৮টায় যাত্রাবাড়ী থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র ডাকাতি আইনে মামলা দায়ের করে ফখরুল। ওই সময় ফখরুল র‍্যাব-১০ এ কর্মরত ছিল। আর এই র‍্যাব ব্যাটালিয়ন-১০ এর কর্মকর্তারা বাদী হয়ে এই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করে। সূত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও উত্তীর্ণ!

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ...

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৮.৮ ডিগ্রি, টেকনাফে সর্বোচ্চ ৩১

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে দেশের ...

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি, ইউপি উদ্যোক্তার স্বামী কারাগারে

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভুয়া সিল–স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তৈরির ...