
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার। চলতি সপ্তাহে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের কক্সবাজার সফরকে ‘ব্যর্থ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সংস্থাটির বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবারও আশাহত হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।
এইচআরডব্লিউর দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক মীনাক্ষি গাঙ্গুলী বলেন, মিয়ানমার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবারও শরণার্থীদের ‘রোহিঙ্গা’ বলে উল্লেখ করেনি। তাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি, এমনকি রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়নি। দুই বছর আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের এখনও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বুঝিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বলছে, তারা মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে তাদের কাগজপত্র দেখিয়েছেন। তারা নতুন করে বিদেশি হিসেবে নাগরিক পরিচয়পত্র নিতে রাজি নন। প্রতিনিধি দলকে ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে রাখাইন রাজ্যে ফিরে গেলে আর এ ধরনের নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হবে না বলে নিশ্চয়তা চান রোহিঙ্গারা।
কিন্তু মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধিরা এ ধরনের পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। মীনাক্ষি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনে দাতা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর উচিত মিয়ানমারকে রাজি করানো। রাখাইনে বিচার প্রতিষ্ঠা এবং নিরাপত্তাসহ যাবতীয় নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করেই রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া উচিত।
পাঠকের মতামত