প্রকাশিত: ২৪/০৭/২০১৬ ৮:১৪ এএম

upশাহিদ মোস্তফা শাহিদ,সদর:: মাদক আর উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে বাঁধা দেয়ায় ছোট বোনের স্বামীর হাতে প্রাণ দিতে হলো বাইশারী ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসাবে কর্মরত মিজানুর রহমানকে। খুন পরবর্তী আত্মীয়-স্বজন ও নিহতের পৈত্রিক এলাকা এবং কর্মস্থল বাইশারীর বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেই চাঞ্চল্যকর এ তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে।

উভয় এলাকার অসংখ্য লোকজন ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মিজানুর রহমানের ছোট বোনকে বিয়ে দেয় কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের লিঙ্ক রোড মুহুরী পাড়াস্থ তাজুল ইসলামের ছেলে হামিদ উল্লাহর সাথে। বিয়ে পরবর্তী মাদকাসক্ত হয়ে হামিদ উল্লাহ বারবার যৌতুকের জন্য বউকে নির্যাতন শুরু করে।

উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনে জড়িয়ে পড়ায় ছোট বোনের জামাই হিসেবে মিজান বোন জামাইয়ের যৌতুকের আবদার বিভিন্ন সময় রাখলেও শাসনও করতে থাকে। এমনকি পরে বোন জামাইকে ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য মোটর সাইকেল কিনে দিয়ে বাইশারীতে রাখে। তারপরও উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন অব্যাহত রাখায় মিজান তাকে শাসন করতে চাইলে তাদের মধ্যে কয়েকবার বিরোধ দেখা দেয়।

ঘটনার দিন উক্ত হামিদ উল্লাহ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঈদগাঁও স্টেশন থেকে তার পৈত্রিক বাড়ী লিঙ্ক রোডে তার কন্যা অসুস্থ হয়েছে মর্মে কথা বলে মিজানকে মোটর সাইকেলে করে কক্সবাজারের দিকে নিয়ে যাওয়ার পথে মহাসড়কের ঈদগাঁও কালিরছড়া অংশে পৌছে উপর্যুপরী ছুরিকাহত করে খুন করে মোটর সাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যায়।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, উক্ত ঘাতক মিজানকে খুন করে কক্সবাজার নিজ বাড়ীতে পৌছে তার স্ত্রীকেও খুনের চেষ্টা চালায়। স্ত্রীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে খুনী স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।

পরে সংবাদ পেয়ে ঈদগাঁও থেকে বাপের বাড়ীর লোকজন গিয়ে বোনকে উদ্ধার করে।

ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত খুনে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান।

পাঠকের মতামত