প্রকাশিত: ১০/০২/২০২০ ৯:৫৬ এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক :
উখিয়ার -১৩ নং তাজনিমার খোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও সন্ত্রাসী গ্রুপের মাঝে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ৮ টার দিকে ক্যাম্প-১৯ থেকে ১ কিঃ মিঃ উত্তর পশ্চিমেপাহাড়ী জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। বেশ কিছু সময় উভয়ের মধ্যে গুলি বিনিময়ের পর সন্ত্রাসী বাহিনী পিছু হটায় ঘটনাস্থল তল্লাশী করে বেশ কিছু দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও মুক্তিপণের জন্য জিম্মি রাখা তিন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

উখিয়ার -১৩ নং তাজনিমার খোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক আনবিক চাকমা জানান,৮/১০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী কয়েক জন রোহিঙ্গাকে তাদের পাহাড়ী আস্তানায় আটকে রাখা হয়। এসব রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষে জিম্মি করা হয়েছিল বলে উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা জানায়। ১৩ ও ১৯ নং ক্যাম্পের উত্তর – পশ্চিমে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পাহাড়ী জঙ্গলের ভিতর লন্ডাখালী এলাকার গোতাইন্নাঝুরা নামক সন্ত্রাসীদের আস্তানায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকের গুলি বিনিময়ের কথা স্বীকার করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি জানান, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে প্রায় আধঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে জিম্মি করে রাখা রোহিঙ্গা মোঃ ইউসুফ (২৪), শফিকুর রহমান (৩২) ও হাছু মিয়া(৩৫) কে উদ্ধার করা হয়।ঔ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গারা গরু খোঁজতে ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় গেলে স্থানীয় থাইংখালী গ্রামের সন্ত্রাসী রাসেল গ্রুপের ৬/৭ জনের একটি দল রোহিঙ্গাদের কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায়। অভিযানে পুলিশ ৬ রাউন্ড ও সন্ত্রাসীরা ৮/১০ রাউন্ড গুলিবর্ষন করে বলে পুলিশ জানান। ঘটনাস্থল থেকে ২ টি রামদা, ২ টি ছোট দা, ১ টি কুড়াল, ২ টি হাতুড়ি, আর্মস ক্লিনিং রড ২টি সহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র সহ একটি ট্রাংক জব্দ করা হয়। রাসেল বাহিনীতে স্হানীয় ও রোহিঙ্গারা মিলে ক্যাম্প ও আশপাশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে রোববার উখিয়া থানায় বেআইনি অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতি সংক্রান্ত ২ টি মামলা হয়েছে বলে উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর জানান।

পাঠকের মতামত

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেলপথে ওভারপাস ফাঁকা, হাতিরা আসে না

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেলপথে বন্যপ্রাণী রক্ষায় গড়ে তোলা হয়েছিল এশিয়ায় সর্বপ্রথম ‘এলিফ্যান্ট ওভারপাস’। উদ্দেশ্য ছিল– বন্যহাতির জীবন ...