প্রকাশিত: ২৩/০৬/২০১৬ ১০:১৫ পিএম , আপডেট: ২৩/০৬/২০১৭ ১০:৪৯ এএম

abul-kashem-al-noka-640x387বিশেষ প্রতিবেদক :: আজ ২৩ জুন শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। আর দলটির জন্মের চার বছর পর জন্মগ্রহণ করেন কক্সবাজারের উখিয়ার আবুল কাসেম। লেখাপড়া জানেন না তিনি। নিজের নাম-দস্তখতও শেখা নেই তাঁর। জ্ঞান-বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের ভক্ত। দলটির প্রতীক নৌকা বলতেই অজ্ঞান তিনি। এ কারণে এলাকার লোকজন তাঁকে ‘নৌকাপাগল কাসেম’ নামে ডাকেন।

দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং গৌরব-সংগ্রামের সাক্ষী আওয়ামী লীগের দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে আবুল কাসেমের মতো নিবেদিত কর্মী-সমর্থকদের নির্ভেজাল অবদান। কাসেমের বাড়ি উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের জামবাগান এলাকায়। তাঁর বাবা আবু বকর মারা যান ৮০ বছর বয়সে। তিনিও ছিলেন আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাঁর সংসারে স্ত্রী ও ছয় সন্তান।

আবুল কাসেম বলেন, ‘কোনো কিছু পাওয়ার আশায় আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি না। মনেপ্রাণে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। দলটি বর্তমানে ক্ষমতায়। আর আমি দিনমজুর, দিনমজুরই রয়ে গেলাম। তবে সান্ত্বনা এখানেই, অন্তত গ্রামের মানুষ এখন আর উপোস থাকেন না।’

আবুল কাসেম জানেন না তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য কী-না। তবে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল আজিজ মেম্বার নিশ্চিত করেছেন, ‘আবুল কাসেম দলের একজন তালিকাভুক্ত প্রবীণ সক্রিয় সদস্য।’

‘নৌকাপাগল’ আবুল কাসেম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু না হলে দেশের স্বাধীনতাও দেখতাম না। স্বাধীন দেশের নাগরিক আমি। কথা বলছি বুক ফুলিয়ে। সবই বঙ্গবন্ধুর জন্য।’

হলদিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসলাম মেম্বার বলেন, ‘কাসেমের কথা বলে শেষ করতে পারব না। তাঁর মতো আওয়ামী লীগের ভক্ত আর নেই। তিনি আমাদের অহংকার।’

অতীতকথা বলতে গিয়ে দলটির তৃণমূলের ত্যাগী এই কর্মী বলেন, ‘যেখানে আওয়ামী লীগের জনসভা সেখানেই ছুটে যেতাম। সংসারে বড়ই অভাব ছিল তখন। একদিন দিনমজুরের কাজে না গেলে উপোস থাকতে হত।’

‘একদিন টেকনাফ সদরে আওয়ামী লীগের জনসভা ছিল। ছুটে গেলাম সেখানে। ঘরে বলে যাইনি জনসভায় যাওয়ার কথা। জানতাম ঘরে ছেলে-মেয়েদের খাবারের চাল নেই। তবু জয় বাংলার টানে জনসভায় ছুটে যাই। ঘরে ফিরতে ফিরতে গভীর রাত। দেখি আমার বুকের ধন সন্তানরা না খেয়েই আমার পথপানে চেয়ে আছে।’-যোগ করেন কাসেম।

কাসেমের স্ত্রীর কানের দুল আর নাক ফুল বিক্রির কাহিনিরও শেষ নেই। জাতীয় নির্বাচন এলে ঘরে বেচা-বিক্রির পণ্য রাখা সম্ভব হত না। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য যেখানে যা করা দরকার আবুল কাসেম তাই করতেন। স্ত্রীর কানের দুল বিক্রি করে তিনি একবার পেয়েছিলেন ১০০ টাকা। সেই টাকাও দলের এক জনসভায় আসা-যাওয়ায় শেষ হয়ে যায়। সেদিনও ঘরে এসে তিনি দেখতে পান, ছেলে-মেয়েরা না খেয়েই আছে।

কাসেম বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের পাগল, আমি নৌকার পাগল-এটা সবাই জানেন। তাই অন্য কোনো দলের প্রার্থী বা সমর্থক আমার কাছে কখনো ভোট চাইতে আসেননি।’

আবুল কাসেম মনে করেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়নকাজ নিয়ে নানা অপপ্রচার চলছে। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের সচেতন হতে হবে। নেতাকর্মীরা সচেতন না হওয়ায় সরকারের বিপুল অর্জন ভেস্তে যাচ্ছে।’

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...