

উখিয়ার ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির এক অন্যতম প্রতীকের নাম হলো উপজেলা পরিষদের দীঘি। উখিয়া সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত উপজেলা পরিষদে উঠতে ডান পাশে নয়নাভিরাম এই দীঘিটি সবার নজরে আসে। সুবিশাল এই দীঘিকে ঘিরে উখিয়াবাসীর হাজারো আবেগ ও ইতিহাস ও স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয় তরুণেরা উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ফুটবল খেলা শেষ করে দল বেঁধে এই দীঘিতে গোসল করতো। তাছাড়া দীঘিটির আশপাশের লোকজনও এই দীঘির স্বচ্ছ পানিতে নিয়মিত গোসল করেন। উখিয়া ভূমি অফিসের আরেকটি বড় পুকুরের আগাছা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিয়েছেন সহকারী কমিশনার ভূমি যারিন তাসনিম তাসিন। উখিয়া সদর দারোগা বাজারের প্রবেশ মুখের পুকুর আর উপজেলা পরিষদের এই দীঘিটি জনস্বার্থে ব্যবহার হয়ে আসছে। এখন সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে উখিয়াবাসীর দাবি উপজেলা পরিষদের দীঘিটি কক্সবাজার লাল দীঘি ও গোল দীঘির মতো চিত্তবিনোদনের অন্যতম স্পটে পরিণত করা হোক। কাজি হুমায়ুন কবির বাচ্চু বলেন, উপজেলা পরিষদের এই দীঘিকে ঘিরে অনেক মজার মজার স্মৃতি রয়েছে। ছোটকাল থেকেই আমরা ফুটবল খেলতাম। ফুটবল খেলে এই দীঘিতে গোসল করতাম। এখন বয়স হয়েছে আর খেলা হয় না। যদি দীঘিটির অবকাঠামো ঠিক রেখে একটু বিনোদন স্পট করা গেলে অবসর সময়ে এখানে এসে আনন্দ পেতাম। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি থাকবে যেহেতু উখিয়াতে বিনোদনের মতো কোনো সুযোগ সুবিধা নেই, এমনকি বসার মতোও একটা জায়গা নেই। তাই এই দীঘিকে করা হোক হাঁটার, বসার এবং গল্প করার একটি বিনোদন স্পট। উখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, সবার প্রাণের দাবি, ইচ্ছা থাকলে একটি আকর্ষণীয় বিনোদন স্পট হবে। সাবেক ছাত্র নেতা ও উখিয়া প্রেস ক্লাবের অন্যতম সদস্য সোলতান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পর্যটনমুখী বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, শুক্রবার. শনিবারের জন্য যথাযথ বিনোদন কেন্দ্র। কিন্তু ওরা তু গণআকাংখা বিরোধী। এডভোকেট রবিন্দ্র দাশ রবি বলেন, জনসাধারণের ব্যবহারের বিষয় বাদ দিয়ে উন্নয়ন দরকার নেই। যেটা কক্সবাজার লাল দীঘি ও গোলদীঘির ক্ষ্রেত্রে হয়েছে। মাষ্টার আব্দুল মালেক বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিকল্পনার ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকলাম। উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর সাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী বলেন, উপজেলা পরিষদের দীঘি, ভূমি অফিসের পুকুর এবং উখিয়া সদর দারোগা বাজারকে নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। দারোগা বাজার হবে অত্যাধুনিক বহুতল ভবন। দীঘি হবে বিনোদন স্পট। পুকুর হবে স্বচ্ছ। উখিয়ার আশপাশ হবে পরিচ্ছন্ন। আমরা সুন্দর একটা উখিয়া দেখতে চাই। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। দীঘিতে সুন্দর একটি ঝর্ণা থাকবে। এমনটি পরিকল্পনায় রয়েছে। উখিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি যারিন তাসনিম তাসিন বলেন, ইতিমধ্যেই ভূমি অফিস সংলগ্ন দারোগা বাজারের প্রবেশমুখে ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কেটে ফেরা হয়েছে। ড্রেন পরিস্কার ও পুকুর খনন করে চতুর্দিকের সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করা হয়েছে। দেয়াল তৈরির কাজও চলছে। পর্যায়ক্রমে যেখানে যা যা করা দরকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে পরামর্শক্রমে সব করা হবে।
পাঠকের মতামত