গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ :
টেকনাফে ২ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ আড়াই লাখ টাকাসহ দু’সহযোগি নিয়ে ধরা খেলেন আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও কলেজ ছাত্র সাদ্দাম হোসেন। ২০ আগষ্ট রবিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় তাকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল গ্রামের নিজ বাড়ীর সামনের দোকান থেকে আটক করে পুলিশ। সে স্থানীয় মৌ: নুরুল ইসলামের ছেলে। আটক অপর দু’জন হচ্ছে দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল গ্রামের মো: ইউনুছের ছেলে মাসুম ও হাবিরছড়া গ্রামের মৌ: আব্দুর রহিমের ছেলে মো: আতাউর রহমান।
জানা যায়, টেকনাফ মডেল থানার এসআই নির্মল চাকমার নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা বেচাবিক্রির সময় অভিযান পরিচালনাা করে আলোচিত ইয়াবা গডফাদার সাদ্দাম হোসেনকে অপর দু’সহযোগিসহ আটক করে। আটক অপর দু’জন দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল গ্রামের মো: ইউনুছের ছেলে ও টেকনাফ বর্ডারগার্ড স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র মাসুম ও হাবিরছড়া গ্রামের মৌঃ আব্দুর রহিমের ছেলে মো: আতাউর রহমান টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র বলে জানা যায়।
এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ হাজার পিস ইয়াবা, আড়াই লাখ ইয়াবা বিক্রির নগদ টাকা ও ৪ ক্যান বিয়ার। আটক সাদ্দাম হোসেন লেঙ্গুর বিল গ্রামের মৌ: নুরুল ইসলামের ছেলে। খোজঁ নিয়ে জানা যায়, আটক সাদ্দাম হোসেন উখিয়া ডিগ্রী কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র । স্কুল কলেজের ছাত্রদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করে সে বেশ কয়েক বছর ধরে ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। গড়ে তুলেছে একটি সিন্ডিকেট। সে ইয়াবা ব্যবসা করে অর্জন করে প্রচুর অর্থ সম্পদ। ইতিমধ্যে সে টেকনাফ পৌর এলাকার মিল্কী রিসোর্টের উত্তর পার্শ্বে ১টি দোকান , ঢাকা হোটেলের পার্শ্বে কুলিং কর্ণার , মদিনা সিটি সেন্টারে কাপড়ের দোকান, রমজান আলী মাকের্টে মুরগীর দোকান, ইয়াবা পাচার কাজে নিয়োজিত ২ টি ইঞ্জিন চালিত বোট, পাচারকাজে ব্যবহৃত ১টি চাদেঁর গাড়ী ও ৩ টি মোটর সাইকেলসহ বেশ জমিজমার মালিক বনে যান।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন খান জানান, ইয়াবা কারবারিরা দেশ ও জাতির শত্রু। বর্তমান সরকার ইয়াব পাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তাই পাচারকাজে নিয়োজিত কোন অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে দিনে ২ হাজারের বেশি পর্যটক না যাওয়া, রাত্রিযাপন, বারবিকিউ পার্টি না করা ...
পাঠকের মতামত