কক্সবাজারের টেকনাফে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হওয়ার এক মাস পর মোহাম্মদ রফিক (২০) নামের এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার (১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশটি দাফন করা হয়েছে।
তবে কোনো মামলা হওয়ার আগেই তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, বিকেলে নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের নিজের ঘরে তিনি মারা যান।
পুলিশ বলছে, পরিবারের সদস্যরা তাদের না জানিয়ে লাশ দাফন করে দিয়েছেন। ফলে ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এদিকে পরিবারের সদস্যরা বলছেন, পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় লাশটি দাফন করা হয়েছে।
রফিক টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সি ব্লকের ৮৮১/৩ নম্বর শেডের বাসিন্দা আবু তাহেরের ছেলে।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শিবির ফাঁড়ির পরিদর্শক সুরেস চন্দ্র বলেন, গত ১ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে রফিককে দুর্বৃত্তরা পাহাড়ে নিয়ে মারধর ও গুলি করে। ওই সময় তিনি গলা, মুখসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান।
খবর পেয়ে দ্রুত নয়াপাড়া এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নয়াপাড়া আইপিডি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। তিনি কিছুদিন সেখানে ভর্তি ছিলেন। একটু সুস্থ হয়ে উঠলে রফিক আবার রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যান। এর মধ্যে গতকাল বিকেলে তিনি মারা যান। তবে পুলিশকে কোনো খবর না দিয়েই রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশটি দাফন করা হয়েছে।
রফিকের বাবা আবু তাহের বলেন, ঘটনার পর বিষয়টি এপিবিএন পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করতে না পারায় কোনো ধরনের মামলা করেনি। রফিক মারা যাওয়ার পর পুনরায় এপিবিএন পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর তারা দাফনের ব্যবস্থা করেন।
রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির সি ব্লকের চেয়ারম্যান (রোহিঙ্গা দলপতি) মোহাম্মদ একরাম বলেন, দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত রফিক এক মাস পরে মারা গেছে। এপিবিএন পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় লাশটি দাফন করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল হালিম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
পাঠকের মতামত