ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৮/০৪/২০২৫ ৯:৫০ এএম

কক্সবাজার সাগরপারের সুগন্ধা পয়েন্টে হোটেল-মোটেল জোনে পতিত স্বৈরাচার আমলে দখল করা হয় দুই একর ৩০ শতক সরকারি জমি। অন্তত ২০০ কোটি টাকা মূল্যের সেই জমিতে এখন চলছে দোকান নির্মাণের কাজ। স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে একটি চক্র এই কাজ করছে। সরকারি জমিতে টিন দিয়ে ঘিরে ভেতরে নির্মীয়মাণ ঘরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) জানিয়েছে, সাগরপারের হোটেল-মোটেল জোনে দুই একর ৩০ শতক জমির পুরোটাই সরকারি। একটি দখলবাজ চক্র ভুয়া কাগজ তৈরি করে এই জমিকে ব্যক্তি মালিকানাধীন দেখিয়ে রাতারাতি মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকারি জমি জবরদখলের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ নগর পরিকল্পনাবিদ মো. তানভীর হাসান রেজাউল গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী যেকোনো স্থাপনা নির্মাণে অনুমোদন নিতে হয়।

এখানে আমরা কোনো অনুমোদন দিইনি।’
অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সহসভাপতি ওবাইদুল হাসান নামের একজন নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে কয়েক বছর ধরে সাগরপারের জমি দখল করে চলেছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছে বড় একটি চক্র। সাগরপারের জমি দখল নিয়ে বিগত সরকারের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে অনেকবার সংঘর্ষ হয়েছে।

এ ছাড়া ওবাইদুল হাসানের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ জেলা বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগের মামলাও রয়েছে। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিলেন কিছুদিন। তার পরও দখল বাণিজ্য থেমে নেই।
তবে অনেক চেষ্টা করেও ওবাইদুল হাসানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ উঠেছে, কক্সবাজার সদর উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মচারীর সঙ্গে দখলবাজ চক্রের যোগসূত্র রয়েছে।

দুই চক্র মিলে জাল দলিল তৈরি করে জমিটি দখলে নেওয়া হয়। জাল দলিলে স্বাক্ষর রয়েছে তুলনাকারক হিসেবে ভূমি অফিসের নাজির মোহাম্মদ আলমগীর ও নকলকারক হিসেবে কর্মচারী মোহাম্মদ আয়াছের। তবে নাজির মোহাম্মদ আলমগীর কালের কণ্ঠের কাছে দাবি করেছেন, জালিয়াতি করেই এ রকম খতিয়ানের সহিমুহুরি নকল সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি দখলবাজ চক্র সচ্চিদানন্দ সেন গুপ্তের নামে তৈরি ওই খতিয়ানের নকল কপি নিয়েই ২০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পত্তিটি হাতিয়ে নিতে তৎপর রয়েছে।
কক্সবাজার সদর এসি ল্যান্ড শারমিন সুলতানা গতকাল রবিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভূমি অফিসের মূল রেকর্ডে সচ্চিদানন্দ সেন গুপ্ত নামের কোনো ব্যক্তির খতিয়ানের অস্তিত্বই নেই। ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জালিয়াতির একটি মামলা করা হয়েছে। সুত্র, কালেরকন্ঠ

সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক সুষ্ময় দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে।

পাঠকের মতামত

বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে গিয়েছিলেন কক্সবাজারে, ফেরার পথে ট্রাকচাপায় মৃ,ত্যু

বন্ধুদের সঙ্গে জয়পুরহাট থেকে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন মো. মাছুম (৪৫)। ভ্রমণ শেষে চার বন্ধু মিলে দুটি ...