নিখোঁজের ১৭ দিন পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মঞ্জুর খালি এলাকা থেকে মিনু নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার দুপুরে মাটি খুঁড়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীকে হত্যার অভিযোগে তার সাবেক স্বামী জুনায়েদ আহমেদকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব জানায়: গত ২১ মে ভোর রাত তিনটায় মিনু আক্তারকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিজ বাসায় নিয়ে যায় তালাকপ্রাপ্ত সাবেক স্বামী জুনায়েদ আহমেদ। এরপর থেকেই মিনু নিখোঁজ হন ও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে মিনুর কোন হদিস না পেয়ে তার মা ও তিন বোন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন।
‘এক পর্যায়ে জুনায়েদের বাড়ি গিয়ে মিনুর খবর জানতে চাইলে জুনায়েদ তার বর্তমান স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন মিনুর পরিবার সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ জুনায়েদের বাসা থেকে রক্তমাখা লুঙ্গি ও নারীর মাথার লম্বা চুল জব্দ করে।
মিনুর পরিবার বিষয়টি র্যাবকে জানালে র্যাব জিডির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকা থেকে অভিযুক্ত জুনায়েদকে আটক করে র্যাব।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এরপর জিজ্ঞাসাবাদে মিনুকে ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুমের কথা স্বীকার করে জুনায়েদ। তার সেই স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে শুক্রবার দুপুরে র্যাব মাটি খুঁড়ে মিনুর লাশ উদ্ধার করে।’
জানা যায়, জুনায়েদ মিনুর পঞ্চম স্বামী ছিল। এছাড়া জুনায়েদ তার প্রথম স্ত্রী নিয়ে মিনুর বাড়ির পাশেই ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। গত পাঁচ বছর আগে মিনু ও জুনায়েদ গোপনে বিয়ে করেন এবং এক বছর আগে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটে।
তবে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের কোন প্রমাণ র্যাব খুঁজে পায়নি। র্যাবের ধারণা, বিবাহিত প্রতিবেশী জুনায়েদের সাথে চতুর্থ স্বামী স্বামী পরিত্যক্ত মিনুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল এবং টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধও চলছিল।
এর জের ধরেই জুনায়েদ মিনুকে হত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন র্যাব কর্মকর্তা কাজী শামসের উদ্দিন।
তিনি বলেন: এ হত্যাকাণ্ডে জুনায়েদের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কি না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এ আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে।
পাঠকের মতামত