প্রকাশিত: ০৪/০৩/২০১৭ ১০:৪২ পিএম

অনলাইন ডেস্ক: লিঙ্কডইনে সাজানো গোছানো চমৎকার প্রোফাইল, সুন্দরী মেয়ের ছবিযুক্ত কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে আমন্ত্রণ পেতে পারেন। এক নজর দেখলেই মনে হতে পারে পেশাদার কোনো নারীর প্রোফাইল। কিন্তু এটি হতে পারে একটি ফাঁদ।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিমানটেকের গবেষকেরা বলছেন, সুন্দরী মেয়েদের নামে লিঙ্কডইনে প্রোফাইল খুলে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিমানটেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লিঙ্কডইনে ফাঁদ পেতে বসেছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। তাঁরা ভুয়া লিঙ্কডইন প্রোফাইল ব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্কে ঢুকে পড়ে এবং সেখান থেকে যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ওই তথ্য কাজে লাগিয়ে ফিশিং মেইলসহ নানা স্ক্যাম ছড়ায়।

সিমানটেকের অফিশিয়াল ব্লগে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৪০ কোটি মানুষ পেশাদার নেটওয়ার্ক হিসেবে লিঙ্কডইন ব্যবহার করছেন। এই নেটওয়ার্কে থাকা বিভিন্ন পেশার মানুষ বিশেষ করে নিরাপত্তা, তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের পেশাজীবীদের সঙ্গে যুক্ত হতে চায় দুর্বৃত্তরা। এরা আসল লিঙ্কডইন প্রোফাইল থেকে তথ্য নকল করে এবং চাকরিদাতা সেজে নতুন লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করে।

সিমানটেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বছর থেকে লিঙ্কডইনে ভুয়া অ্যাকাউন্ট বাড়তে শুরু করেছে। লিঙ্কডইনে প্রতারণা ঠেকাতে সিমানটেক লিঙ্কডইনের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। এ ধরনের ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলোর ধরনে একটি বিশেষ ধারা দেখা যায়। তারা ভুয়া কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরিদাতা, উদ্যোক্তা বা নিজ প্রতিষ্ঠানের মালিক কিংবা কোনো পেশাদার সুন্দরী নারীর প্রোফাইল-ছবি চুরি করে ব্যবহার করে। গুগলে ছবি অনুসন্ধান কিংবা ছবি খোঁজার সফটওয়্যার ব্যবহার করে সহজেই ভুয়া এসব অ্যাকাউন্টের তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।

ভুয়া অ্যাকাউন্টধারীরা আসল অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য কপি করে এবং যাতে সহজে সার্চ রেজাল্টে দেখায় সেজন্য চেষ্টা চালায়। এসব ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরির প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্কে ঢুকে তথ্য সংগ্রহ করা। লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্টে কাউকে যুক্ত করার আগে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিমানটেক।

অপরিচিত কাউকে লিঙ্কডইনে যুক্ত না করার পরামর্শ গবেষকেদের। কোনো অ্যাকাউন্ট আসল না ভুয়া তা নিশ্চিত হয়ে গুগল গিয়ে ছবি সার্চ ও লিঙ্কডইন তথ্য গুগলে অনুসন্ধান চালালেই আসল তথ্য বের হয়ে আসবে।

পাঠকের মতামত