নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্ব শান্তি দিবসের আলোচনা সভায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে ইঙ্গিত করে ফ্লিম ফর পিস ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নোবেল পুরস্কার যাদেরকে দেয়া হয় তারা মানুষ হত্যাকারি। পৃথিবীর সব চেয়ে মানবিক বিপর্যয়ের শিকার রোহিঙ্গাদের পাশে উখিয়ার স্থানীয়রা নিজে না খেয়ে তাদেরকে রান্না করে খাওয়ানোর পাশাপাশি বাড়ির পাশের জায়গা এমন কি তাদের ঘরে পর্যন্ত আশ্রয় দিয়ে যে মানবতা দেখিয়েছে তা বিশ্বে বিরল।
উখিয়ায় দুই লক্ষ সত্তর হাজার জনতা অধ্যুষিত এলাকায় এখন এগারো লক্ষ রোহিঙ্গা এসে সহ অবস্থানে বসবাস করছে। কোনো বিবেদ, হিংসা-হানাহানি এখানে নেই। উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের দক্ষ পরিচালনায় এবং সাংবাদিকদের বস্তু-নিষ্ট লেখনির মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে জাগিয়ে তোলা হয়েছে। ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানসহ বড় বড় দেশ যেখানে পারে নাই সেখানে বাংলাদেশ পেরেছে।
রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিবাদী দর্শন চেতনা আর মানবতাবাদী পদক্ষেপ সারা বিশ্বে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সমস্যা সমাধানের আলোকবর্তিকা হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছেন তিনি। শান্তিতে নোবেল জয়ীদের ভূমিকা যখন প্রশ্নবিদ্ধ তখন বিশ্বের মানচিত্রে শান্তির পতাকা হাতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তাই মানবতার মা হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিভাধন জানানো হয় এই সমাবেশ থেকে। স্থানীয় জনতা, সাংবাদিক ও উপজেলা প্রশাসনকে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেছেন আয়োজকরা।
আজ বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় উখিয়া উপজেলা পরিষদ সত্তরে বিশ্ব শান্তি দিবস-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা পারভেজ ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী, এম এস আই এর প্রতিনিধি জান্নাতুল মাওয়া, কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম, ছাবের আহমদ কন্ট্রাক্টার ও সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার।
পাঠকের মতামত