প্রকাশিত: ১৪/১১/২০১৯ ১২:২৯ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
নারী ও শিশু নির্বিশেষে অবাধে ধর্ষণ,খুন,অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ প্রভৃতি গুরুতর করেছে মিয়ানমার। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই খবরে স্তম্ভিত হয়েছিল সারা বিশ্ব। রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সেনাদের নৃশংস অভিযানের জেরে ঘর ছেড়েছিলেন প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম। শরণার্থীদের ঢল নেমেছিল ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে। সেই গণহত্যার দায়ে এবার মায়ানমারকে কাঠগড়ায় তুলল গাম্বিয়া।

নেদারল্যান্ডসের হেগের দি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) সোমবার অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো–অপারেশনের পক্ষে এই মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া৷ মায়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে গাম্বিয়া সহ এখনও পর্যন্ত মোট ৫৭টি দেশ রাষ্ট্রপুঞ্জের বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেছে।

গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল আবুবকর মেরি তাম্বাদু এপিকে বলেন, ‘‌এটা আমাদের প্রজন্মের জন্য লজ্জার বিষয় যে আমাদের চোখের সামনে ওই গণহত্যা হলেও তখন আমরা কিছুই করিনি৷ ওই গণহত্যার ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই গাম্বিয়া এই মামলা করেছে৷’‌ যদিও এই গণহত্যার অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে এসেছে মায়ানমার সরকার। প্রত্যেকবারেই মায়ানমার সরকার জানিয়েছে, এই ঘটনায় জঙ্গি দমন প্রক্রিয়ার একটি অংশ।

১৯৪৮ সালের গণহত্যা প্রতিরোধ চুক্তিতে গাম্বিয়া এবং মায়ানমার, দুটি দেশই স্বাক্ষর করেছিল। সেই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগেই মায়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে গাম্বিয়া। রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মায়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ মোট ১০টি সংগঠনের সমর্থন পেয়েছে গাম্বিয়া। ‌‌

পাঠকের মতামত