প্রকাশিত: ১৯/০৮/২০১৮ ১০:১১ পিএম
ফাইল ছবি

বার্তা পরিবেশক::
কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়ন ও খুনিয়া পালং ইউনিয়নে আবারও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসা। বর্তমানে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে রামু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা। তার মধ্যে রামুর খুনিয়া পালং এর দক্ষিণ ধেছুয়া পালং বড়–য়া পাড়া এলাকায় রয়েছে একাধিক মাদক মামলার আসামী। তারা আবারও প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। খুনিয়া পালং বড়–য়া পাড়া এলাকার হাছু মিয়ার পুত্র চট্টগ্রামের বায়জিদ বুস্তামি থানার ২০১৭ সালের জুন মাসে ৩৮ হাজার ইয়াবা নিয়ে আটক হয় সে। উক্ত থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৯৯০ সালের ১৯(১) এর ৯ (খ)২১/২৫ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। যার মামলা নং- ২৫, তারিখ- ১৭/০৬/২০১৮ইং। একই এলাকার মৃত কবির আহমদের পুত্র রশিদ আহমদ, মনু বড়–য়ার পুত্র উজ্জ্বল বড়–য়া । তারা দুই জন প্রায় ৪০ হাজার ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রামে আটক হলে তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৯৯০ সালের ১৯ (১) এর ৯ (খ) ধারায় চট্টগ্রামের খুলশি থানায় মামলা করা হয়। যার মামলা নং- ০২, তারিখ- ০১/০৭/২০১৮ইং। তাছাড়া রশিদ আহমদ ও স্বপন বড়–য়ার আরেকটি মামলা নং- ০৯, তারিখ- ১০/০২/২০১৭ইং। ধারা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৯৯০ সালের ১৯(১) এর ৯ (খ)২১/২৫। একই এলাকার সুমন শ্রী বড়–য়ার পুত্র ছোটন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৯৯০ সালের ১৯(১) এর ৯ (খ) আইনি মামলা করা হয়। যার নং- ০২, তারিখ- ০১/০৭/২০১৮ইং। তাছাড়া একই এলাকার সুনীল বড়–য়ার পুত্র সংকর বড়–য়ার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। মামলা নং- ৫১ (১০, ১৪। জি.আর. ৩৩৬/১৪। উক্ত সংকর বড়–য়া বর্তমানে পলাতক রয়েছে এবং তার সেন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। এছাড়াও রয়েছে রামুর রাজারকুল ইউনিয়নের দেয়াং পাড়া এলাকার নুর আহমদের পুত্র মঞ্জুর আলম ও আরও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীদের নাম। তাছাড়াও মোঃ আলমের পুত্র আজিজুল হক, ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াজেদ আলীর পুত্র ছকিদার ইউনুছ। সে বিভিন্ন ইয়াবা ব্যবসায়ীদেরসাথে হাত মিলিয়ে অতি গোপনে তাদেরকে সহযোগিতা করছে বলে জানা গেছে। আরও জানা যায়, মঞ্জুর আলম কয়েকদিন আগে উখিয়ার কুতুপালং এলাকা থেকে একজন রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকার ইয়াবা এনে তার এলাকায় পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে এলাকার যুব সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায় । এছাড়াও রামুর পূর্ব রাজারকুল হাজী পাড়া এলাকার মোঃ আলীর পুত্র ইয়াব আবু বক্কর প্রকাশ ট্যাবলেট বক্কর তার মোটর বাইক নিয়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইয়াবা নিয়ে এসে রামুর রাজারকুল অফিসের চর, মিঠাছড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় পাইকারী ও খুচরা হিসাবে বিক্রি করে এলাকার কম বয়সী যুব সমাজ সহ বিভিন্ন পেশার লোকজনদেরকে পৌছিয়ে দিচ্ছে ইয়াবা। তার এলাকায় তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে মাদক ব্যবসা সহ সমস্ত অপরাধের কাহিনী। উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন রামুবাসী। এদিকে রামু থানার নবাগত ওসি আবুল মনছুর জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন আমরা তার পক্ষে দিন রাত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। আমরা প্রতিদিন কোন না কোন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হচ্ছি। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কোন ধরণের আপোষ নাই এবং হবেনা। তারা যতই শক্তিশালী হওক আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...